মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে ট্রেনের মধ্য়েই ভয়াবহ ঘটনা। এক মহিলাকে ট্রেনের মধ্য়েই চরমতম যৌন হেনস্থার অভিযোগ। ৩২ বছর বয়সি ওই মহিলার অভিযোগ প্রতিবাদ করতেই তাঁকে চলন্ত ট্রেন থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। ইতিমধ্য়েই এনিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
গোয়ালিয়রের পুলিশ সুপার রাজেশ চান্ডেল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, ৩৫৪ ধারা ও ৩০৭ ধারা খুনের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। মহিলার শরীরের বিভিন্ন জায়গা ভেঙে গিয়েছে। একজন পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গে তিনি যাচ্ছিলেন। তবে তার আঘাত গুরুতর নয়। রেলপুলিশ এনিয়ে তদন্ত করছে। অভিযুক্তের খোঁজ পেতে রেলের বিস্তারিত বিবরণ সংগ্রহ করা হচ্ছে। তবে ওই মহিলা বিস্তারিত কিছু জানাতে পারেননি। শুধু তিনি জানিয়েছেন তিনি সুরাটের দিকে যাচ্ছিলেন।
তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, সোমবার রাতে এই ঘটনাটি হয়। মঙ্গলবার সকালে রেললাইনের ধার থেকে ওই মহিলা ও তার সঙ্গে এক যুবককে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই মহিলা একজন দিনমজুর। তারা দুজনের সুরাটে যাচ্ছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, কয়েকজন ট্রেনে তার ছবি তুলছিল।
এদিকে তখন ওই মহিলা বাঁচার জন্য মিথ্যে করে বলেন সঙ্গের যুবক তার স্বামী। এভাবে ছবি তুললে কিন্তু ফল ভালো হবে না। এরপরই কয়েকজন তার শাড়ি ধরে টানাটানি শুরু করে। তিনি দরজার দিকে চলে যান। আর সেই ঘটনার প্রতিবাদ করতেই তাকে দরজা দিয়ে ঠেলে দেওয়া হয়। গোয়ালিয়র ও গুনার মাঝে রেললাইনের ধারে পড়েছিলেন তিনি।
এদিকে গোটা ঘটনায় শোরগোল পড়েছে। ট্রেনের মধ্য়ে এভাবে মহিলা শাড়ি ধরে টানাটানির ঘটনাকে ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠছে। রেলে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠছে। ওই মহিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তা দেখা হচ্ছে। পুলিশ ইতিমধ্য়ে মজফ্ফরপুর ও লখনউ স্টেশনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেয়েছে। কারা সেদিন ট্রেনে উঠেছিল তা দেখা হচ্ছে।
ভয়াবহ ঘটনা। ফের ট্রেনে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠে গেল। অল্পের জন্য মহিলার প্রাণ রক্ষা হয়েছে। কিন্তু তিনি গুরুতর জখম হয়েছেন।