দিল্লির নারকীয় হত্যাকাণ্ড চাঞ্চল্যকর মোড়। শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডে এক বিস্ফোরক স্বীকারোক্তিতে অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালা জানিয়েছে যে, সে শ্রদ্ধা ওয়াকারকে হত্যা করে তাঁর দেহ টুকরো করে, শ্রদ্ধার মুখের অংশ পুড়িয়ে দেয়। যাতে কোনও মতেই মুখের খণ্ডটি চেনা না যায়।
ওই মুখের খণ্ড দেখলে যাতে কেউ চিনতে না পারে তার জন্যই আফতাব এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে সে পুলিশকে জানায়। এর আগে শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ড ঘিরে দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় ধৃত আফতাবকে নিয়ে তদন্তে এগোয় পুলিশ। বহু জায়গায় পুলিশ খোঁজ করে শ্রদ্ধার দেহের বাকি খণ্ড। তার আগে পুলিশকে আফতাব জানিয়েছিল যে সে শ্রদ্ধাকে খুন করে ৩৫ টি টুকরো করে দেয়। এরপর শ্রদ্ধার দেহের ১৩ টি অংশ পাওয়া গেলেও বাকি অংশ ও শ্রদ্ধার মুখ মণ্ডলের অংশটি পাওয়া যায়নি। তারপরই পুলিশের কাছে অভিযুক্ত আফতাব এই পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার কথা জানায়। এদিকে যে অস্ত্র দিয়ে আফতাব শ্রদ্ধাকে হত্যা করেছে, সেই অস্ত্রও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তার তদন্তে আফতাবকে জিজ্ঞাসাবাদ করেও কোনও সদুত্তর পায়নি পুলিশ। এদিকে, গতকালই দিল্লির সকেত কোর্ট আফতাবকে নারকো টেস্টের জন্য অনুমোতি দিয়েছে পুলিশকে। এদিকে, দিল্লি কোর্ট সদ্য আফতাবকে আরও ৫ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার অনুমতি দিয়ে দিয়েছে।
এছাড়াও আফতাবকে নিয়ে হিমাচলপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন জায়গায় তদন্তের স্বার্থে যাওয়ার অনুমতি কোর্টের কাছে চেয়েছে পুলিশ। কোর্ট এই অনুমতিও দিয়েছে। এদিক, জানা যাচ্ছে, আফতাব পুনাওয়ালার পৈতৃক বাড়িতে গিয়েও পুলিশ কাউকে পায়নি। মনে করা হচ্ছে আফতাবের পরিবার কোথাও গা ঢাকা দিয়েছে। বেশ কিছু রিপোর্ট বলছে, তাঁদের লুকোতে সাহায্য করে আফতাব নিজেই। সম্ভবত আফতাব ১৫ ধরা পড়ার ১৫ দিন আগে তাঁর পরিবারের সকলকে কোথাও চলে যেতে বলে। সেই অনুযায়ীই তাঁরা গা ঢাকা দিয়েছেন।