রাজস্থানে নয়া নাটক, এবার ঘর রক্ষা করতে বিধায়কদের গুজরাতে পাঠাল বিজেপি
1 মিনিটে পড়ুন Updated: 08 Aug 2020, 11:42 PM ISTরাজস্থান অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে সতর্ক দুই পক্ষ
রাজস্থান অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে সতর্ক দুই পক্ষ
শনিবার গুজরাতের পোরবন্দরে পৌঁছালেন রাজস্থানের আধ ডজন বিজেপি বিধায়ক। সূত্রের খবর,আরও বেশ কয়েকজন বিজেপি বিধায়ক আগামী কয়েকদিনে আসবেন এখানে। রাজস্থানে ১৪ অগস্ট থেকে অধিবেশন শুরু। তার আগে বিজেপি ও কংগ্রেস, উভয় পক্ষ নিজেদের বিধায়কদের সামলে রাখতে চাইছে।
আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপির দাবি, কংগ্রেস সরকার নানা ভাবে হেনস্থা করছে। তাই তীর্থ করতে সোমনাথ মন্দির দেখতে যাচ্ছেন বিধায়কদের একাংশ। চার্টার্ড প্লেনে নেমে সেই কথাই বলেন বিজেপি বিধায়ক নির্মল কুমাওয়াত।
তিনি বলেন যে স্পেশাল অপারেশনস গোষ্ঠীর মাধ্যমে বিজেপি বিধায়কদের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। সেই জন্যেই মনের চাপ লাঘব করার জন্য সোমনাথ মন্দিরে তাঁরা যাচ্ছেন বলে তিনি জানান। আরেকজন বিধায়ক জানান যে তারা আগামী দুই দিন এখানে থাকবেন। সূত্রের খবর, দক্ষিণ রাজস্থানের মেওয়ারে যে আদিবাসী অধ্যুষিত আসনগুলি রয়েছে, সেখানকার বিজেপি বিধায়কদের টার্গেট করেছে কংগ্রেস। সেই কারণেই কোনও ঝুঁকি নিচ্ছে না বিজেপি।
গেরুয়া শিবির সূত্রের খবর, ৬ অগস্টের আগের থেকেই বিধায়কদের ভাঙানোর চেষ্টা করছে শাসকদল। রাজস্থান বিধানসভার বিরোধী দলনেতা গুলাব চাঁদ কাটারিয়া অভিযোগ করেন যে কংগ্রেসের সরকার পড়তে চলেছে তাই বিজেপির লোকদের যোগাযোগ করছে।
তবে কংগ্রেস এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দক্ষিণ রাজস্থানে ২৮টি আসনের মধ্যে ১৫টি পেয়েছিল বিজেপি। তাদেরই ভাঙানোর চেষ্টা চলছে।
প্রসঙ্গত, সচিন পাইলট বিদ্রোহ করার পর থেকেই রাজস্থানের কংগ্রেস সরকার টলমল। সচিন সহ ১৯জন বিধায়ক এখন রাজস্থানের বাইরে। অন্যদিকে কংগ্রেস নিজের ঘর গোছাতে সব বিধায়কদের নিয়ে জয়সালমিরে রেখেছে। বিজেপি কিছু বিধায়ক রাখল গুজরাতে। ১৪ তারিখ অধিবেশন খোলার পর আস্থা ভোট নেবেন মুখ্যমন্ত্রী গেহলট, সেটাই প্রত্যাশিত। তার আগে অবধি করোনার বাজারে নিজেদের বিধায়ক কেন্দ্র থেকে অনেক দূরে থাকবেন রাজস্থানের নেতারা।