শ্রীলঙ্কার সংসদের প্রধান বিরোধী দলনেতা সাজিথ প্রমেদাসা অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চলেছেন দেশের রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে প্রেমাদাসা বলেন, ‘আমরা শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ তিনি অর্থনৈতিক নীতির ক্ষেত্রে দেশের সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হয়েছেন। আমরা বিরোধী দলের সব নেতাদের বৈঠক ডেকেছি এবং শিগগিরই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।’
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষের কাছে বার বার চাপ আসছে ইস্তফা দেওয়ার জন্য। তবে গোতাবায়া অনড়। এপরদিকে সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক গভর্নর, ট্রেজারি সচিবের পদ ফাঁকা হয়ে পড়েছে। এই আবহে বিরোধীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজাপক্ষেকে সরিয়ে দেশের হাল ধরে কি না, এদিকে নজর অনেকেই। প্রসঙ্গত, এর আগে ২৩ জন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মহিন্দা রাজাপক্ষের মন্ত্রিসভা থেকে। এরপর বিরোধীদেরও সরকারে যোগ দেওয়ার আআহ্বান জানিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি রাজাপক্ষে। তবে সেই আহ্বান উড়িয়ে দেন বিরোধীরা।
এদিকে শ্রীলঙ্কার কঠিন সময়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় সেদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমেসিংহে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করলেন ভারতের। এদিকে বিক্রমসিংহে দাবি করলেন যে বর্তমান ব্যবস্থায় চিনের তরফে কোনও বড় বিনিয়োগ করা হয়নি শ্রীলঙ্কায়। রনিল বলেন, ‘আমি মনে করি ভারত সর্বাধিক সাহায্য করেছে। আমাদের দেখতে হবে যে তারা আর্থিক উপায় বাদে এখনও অন্য ভাবে সাহায্য করে চলেছে। তাই আমাদের তাদের কাছে কৃতজ্ঞ হতে হবে।’ এরপর তিনি বলেন, ‘তারা (বর্তমান সরকার) বিনিয়োগ চেয়েছে কিন্তু বিনিয়োগ আসেনি... আমি মনে করি ঋণ পরিশোধের তারিখ পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে আলোচনা চলছে। তারা চিন সরকারের সাথে কথা বলেছে, আমি শুধু এটুকুই জানি।’
এদিকে বর্তমান পরিস্থিতির জন্য রাজাপক্ষে প্রশাসনে অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে তিনি বলেন, ‘সরকার অর্থনীতির দিকে নজর দেয়নি। তাদের বেশ কয়েকবার বলা হয়েছিল আইএমএফের কাছে যেতে। তারা কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক এবং কোষাগারের পরামর্শ মতো কাজ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। মানুষ এখন এর দাম দিচ্ছে। এটা এখনও স্পষ্ট যে তারা এখন একটি পরিবর্তন চায়।’