২০১৬ সালের নভেম্বর মাসের ৮ তারিখ সন্ধ্যায় দেশের উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে ১০০০ টাকা এবং ৫০০ টাকার নোট বাতিল করার ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় ৫৮টি মামলা রুজু হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলাগুলির শুনানি চলছে। এই আবহে এবার কেন্দ্রীয় সরকার এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া সংক্রান্ত যাবতীয় নথি জমা দিতে বলল সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি মামলায় রায়দানও স্থগিত রাখল বিচারপতি সৈয়দ আবদুল নাজিরের নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ।
এর আগে কেন্দ্রের উদ্দেশে সুপ্রিম কোর্টের তরফে প্রশ্ন করা হয়েছিল, নোট বাতিলের প্রভাব সম্পর্কে সরকারকে অবগত করা হয়েছিল কি না। সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন করেছিল, আরবআই কিসরকারকে জানিয়েছিল যে নোট বাতিলের ফলে দেশের ৮৬ শতাংশ নোটই বাতিল হবে? এই আবহে এবার নোট বাতিলের সিদ্ধন্ত সংক্রান্ত নথি জমা দিতে বলল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, যাবতীয় নথু মুখবন্ধ খামে আদালতকে করা হবে।
প্রসঙ্গত, নোট বাতিলের সময় ১৭.৯৭ লক্ষ কোটি টাকা মূল্যের নোট ছিল বাজারে। এর মধ্যে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটের মূল্য ছিল ১৫.৪৪ লক্ষ কোটি টাকা। সেই টাকার ৯৮.৯ শতাংশ বা ১৫.৩১ লক্ষ কোটি টাকার নোটই ফিরে আসে ব্যাঙ্কগুলির কাছে। ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর ১০০০ টাকা এবং ৫০০ টাকার নোট রাতারাতি বাতিল করে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কালো টাকা রোধ করতেই সেই পদক্ষেপ করা হয়েছিল। তবে সরকারের সেই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা। এর প্রেক্ষিতে আরবিআই এবং কেন্দ্রের থেকে হলফনামা চেয়েছিল শীর্ষ আদালত।