বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Taliban kills isis terrorists: তালিবানের হাতে খুন আইএস জঙ্গি! গোপনে নাশকতার ছকের খবর পেতেই অভিযান

Taliban kills isis terrorists: তালিবানের হাতে খুন আইএস জঙ্গি! গোপনে নাশকতার ছকের খবর পেতেই অভিযান

আইএস জঙ্গিকে হত্যা তালিবান গোষ্ঠীর। প্রতীকী ছবি। (REUTERS)

২০২১ সালের আগস্ট মাস থেকে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ হাতে রেখেছে তালিবানরা। তারপর থেকেই দেশ জুড়ে নাটকীয়ভাবে বেড়ে গিয়েছে হিংসার ছবি। এদিকে, তালিবান বাহিনী রবিবার রাতে একটি অভিযানের সময় আঞ্চলিক জঙ্গি শিবির আইএস গোয়েন্দা ও অপারেশনস প্রধান কারি ফাতেহকে হত্যা করেছে। আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে কূটনীতিবিদদের ওপর সন্ত্রাস হামলার ছক ছিল ওই আইএস জঙ্গিদের।

এবার তালিবানের হাতে মৃত্যু হল আইএস জঙ্গির। কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন আইএসআইএস-এর শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যা করল তালিবানরা। আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে কূটনীতিবিদদের ওপর সন্ত্রাস হামলার ছক ছিল ওই আইএস জঙ্গিদের। আর সেই ছকের গোপন কথা জানতে পেরেই তালিবান তাদের নিকেশ করে।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের আগস্ট মাস থেকে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ হাতে রেখেছে তালিবানরা। তারপর থেকেই দেশ জুড়ে নাটকীয়ভাবে বেড়ে গিয়েছে হিংসার ছবি। এদিকে, তালিবান বাহিনী রবিবার রাতে একটি অভিযানের সময় আঞ্চলিক জঙ্গি শিবির আইএস গোয়েন্দা ও অপারেশনস প্রধান কারি ফাতেহকে হত্যা করেছে। তালিবান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছেন। অভিযোগ, ফতেহ আইএস জঙ্গি শিবিরের গোপন খবর আদান প্রদান করছিল। তালিবান জানিয়েছে,'কাবুলে সাম্প্রতিক অপারেশনের মাস্টারমাইন্ড ছিল ফতেহ।' জানানো হচ্ছে, তাদের টার্গেটে ছিল কিছু মসজিদ ও কূটনৈতিক মিশন। আর সেই খবর গোপন সূত্রে পেয়ে অভিযান চালায় তালিবান। জানা যায়, ফতেহ থাকছিল আফগানিস্তানের খাইরানা খানা এলাকায়। যেখানে ছিল, সেখানেই তালিবানি বাহিনী গিয়ে হামলা চালায়। আশপাশের স্থানীয়রা সেই সময়ের গুলির শব্দ শুনতেও পান। তারপরই তালিবানের অফিসাররা দুটি দেহকে শুইয়ে রেখে তার ছবি টুইটারে পোস্ট করেন। মৃতদেহগুলির মধ্যে একটি ছিল আইএস জঙ্গি কারি ফাতেহর। ২০২২ সালে দেওয়া ইউনাইটেড নেশনসের সিকিউরিটি কাউন্সিলের রিপোর্টে বলা হয়েছে, আইএসআইএস নেতা ফতেহ তার অপারেশন ভারত, ইরান ও মধ্য এশিয়ায় চালাচ্ছে। বহু দিন ধরেই এই জঙ্গি ফতেহ ছিল ‘ওয়ান্টেড’এর তালিকায়। তালিবানের শাসনকালে আইএসআইএস একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসাবে উঠে আসে। উল্লেখ্য, আইএস জঙ্গিরা যেখানে বিশ্ব জুড়ে সন্ত্রাসের চেষ্টায় মগ্ন, সেখানে তালিবানের লক্ষ্যে রয়েছে স্থানীয় লক্ষ্য। তালিবানের হিংসার বলি আফগানকে কেন্দ্র করেই ঘটে থাকে। সেই দিক থেকে আইএসের পরিধি অনেকটাই বড়। (রাষ্ট্রসংঘে নিত্যানন্দের দেশ 'কৈলাসা'র প্রতিনিধিরা! বিশ্ব মঞ্চে কী জানালেন তাঁরা)

এর আগে, আইএস জঙ্গিরা ডিসেম্বরে কাবুলে একটি হামলা চালায়। সেখানে একটি হোটেলে হামলা চালানোর জেরে ৫ জন চিনা নাগরিকের মৃত্যু হয়। সেই ডিসেম্বর মাসেই কাবুলে পাকিস্তানের দূতাবাসেও হামলা চালায় জঙ্গিরা। পাকিস্তানের তরফে সেই ঘটনাকে তাদের রাষ্ট্রদূতকে হত্যার ছক বলে দাবি করা হয়।  উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে তালিবানের কাছে সবচেয়ে বড় বিপদ হিসাবে উঠে এসেছে আইএস। কাবুলে নিরাপত্তা ধরে রাখার ক্ষেত্রেও আইএস জঙ্গি সংগঠন একটি বড় বিষয়।  

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

 

 

 

 

বন্ধ করুন