কাবুল দখলের আগে থেকে মার্কিন সেনার নাকের ডগাতে ভূতের মতো অদৃশ্য হয়ে থেকেছেন বলে জানালেন তালিবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ। গত মাসে কাবুল দখলের পর একদশক পর মিডিয়ায় আত্মপ্রকাশ ঘটান জাবিহুল্লাহ। সম্প্রতি পাকিস্তানি এক সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাতকারে তালিবানের এই নেতা বলেন, 'মার্কিন এবং আফগান সেনাক নাকের ডগায় থাকলেও আমার উপস্থিতির বিষয়ে টের পেত না ওঁরা।' উল্লেখ্য, জাবিহুল্লাহকে খুঁজতে বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে তল্লাশি চালানো হয়। শেষে তাঁর অস্তিত্ব নিয়েই ধন্দে পড়ে যান গোয়েন্দারা।
জাবিহুল্লাহ বলেন, 'মার্কিন এবং আফগান সেনা আমাকে ধরার বহু চেষ্টা করেছে। কিন্তু এতবার পালাতে সক্ষম হয়েছিলাম যে ওরা ভেবে নিয়েছিল যে 'জাবিহুল্লাহ' বলে বাস্তবে কেউ নেই। তারপরও আফগানিস্তানে স্বাধীনভাবে চলাচল করেছি। দীর্ঘদিন ধরে আমি কাবুলে থেকেছি। সবার চোখের সামনেই। যেখানেই তালিবান কিছু করেছে সেখানেই প্রথম সারিতে আমি থেকেছি। এটা আমাদের প্রতিপক্ষকে বেশ ধন্দে ফেলেছিল।'
আদতেই মার্কিন গোয়েন্দাদের মধ্যে ধারণা জন্মেছিল যে তালিবানের মুখপাত্র কেউ একজন নয়, হতে পারে একাধিক জন। তালিবান মুখপাত্র দাবি করেন, তিনি কখনওই আফগানিস্তান ছেড়ে যাননি বা যাওয়ার কথা ভাবেননি। তাঁর সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করার জন্য মার্কিন সেনা নাকি স্থানীয় লোকজনকে টাকা দিত।
মুজাহিদ জানান, তাঁর পূর্বসূরির গ্রেফতারের পর তিনি তালিবানের মুখপাত্র হয়েছিলেন। পাশাপাশি তিনি এও জানিয়েছেন যে উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের নওশেরার হাক্কানিয়া সেমিনারিতে ইসলামি আইনশাস্ত্র নিয়ে পড়াশোনা করেছেন তিনি। এই হাক্কানিয়া সেমিনারিকে আন্তর্জাতিক স্তরে 'তালিবান বিশ্ববিদ্যালয়' বা 'জিহাদ বিশ্ববিদ্যালয়' নামে ডাকা হয়।