গত সপ্তাহের শনিবার বাংলাদেশে বেশকিছু হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছিল। এর আগে সরস্বতী পুজোর সময়ও সেদেশের সংখ্যালধুদের ওপর হামলার খবর প্রকাশিত হয়েছিল। এই সবের মাঝেই এবার মুখ খুললেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় আসাদুজ্জামান বাংলাদেশ কখনও সাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাস করেনি বা সমর্থন করেনি। তিনি দাবি করেন, বর্তমান আওয়ামি লিগ সরকারের মূল লক্ষ্য, বাংলাদেশকে ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হিসেবে গড়ে তোলা। তিনি দৃঢ়কণ্ঠে বলেন, 'আমাদের হিন্দু সমাজ এদেশে ছিল এবং থাকবে।'
রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘হিন্দুদের বাদ দেওয়ার অথবা বঞ্চিত করার কোনও পরিকল্পনা সরকারের নেই। আমরা তাদের অগ্রাধিকার দিয়েছি। তাঁরা সচিবালয় ও পুলিস বিভাগসহ বিভিন্ন জায়গায় শীর্ষ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁরা তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী বিভিন্ন পদে রয়েছেন। আওয়ামি লিগ হিন্দু সম্প্রদায়কে ভালোবাসে। আওয়ামি লিগ সাম্প্রদায়িকতা বিরোধিতায় বিশ্বাসী। এদেশে শুধু মুসলিমদের জয় হবে বলে আওয়ামি লিগ বিশ্বাস করে না। তাই সব সম্প্রদায়ের মানুষ আওয়ামি লিগকে সমর্থন করে। সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে না ইসলাম। ইসলামের নামে যারা এসব করছে, তারা ভুল করছে। আমরা সন্ত্রাসবাদীদের চিহ্নিত করব। এই সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত চলছে। এই সন্ত্রাসবাদীরা প্রশিক্ষণের জন্য পাহাড়ে যায় এবং তারপর ফিরে আসে। আমাদের দেশের মানুষ কখনও সন্ত্রাসকে আশ্রয় দেয়নি।' মন্ত্রী আরও অভিযোগ করেন, 'মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি এখনও পিছু হঠেনি। তারা এখনও সক্রিয়। তারা বারবার ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। তারাও এই ষড়যন্ত্রের অংশ। আমরা এটা সহ্য করব না।'
উল্লেখ্য, শনিবার রাতে উত্তর-পশ্চিম বাংলাদেশের ১৪টি হিন্দু মন্দিরে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় এই হামলা চালানো হয়েছিল। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের দুর্গাপুজোর সময় সাম্প্রদায়িক হিংসা দেখা দিয়েছিল কুমিল্লা ও নোয়াখালিতে। বাংলাদেশের ইস্কন মন্দিরে এবং দুর্গা মণ্ডপে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনায় নিন্দার মুখে পড়েছিল শেখ হাসিনা সরকার। তবে মূল অভিযু্ক্তকে খুব দ্রুতই গ্রেফতার করা হয়েছিল সেই সময়। তবে এরপরও দফায় দফায় বিভিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে চলেছে সেই দেশে।