রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় কাশ্মীরের ইস্যুতে ভারতকে চাপে ফেলতে গিয়েছিলেন। উলটে ভারতের পালটা মৌখিক আক্রমণে মুখ পুড়ল ইমরান খানের। ভারতের তরফে স্পষ্ট বলা হয়, ইমরানের ভাষণ পুরোপুরি ‘মিথ্যা, ভুয়ো তথ্য এবং অন্য দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্ররোচনামূলক।’
ভারতের উত্তর দেওয়ার অধিকার প্রয়োগ করে রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী মিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি মিজিতো ভিনিতো বলেন, '৭৫ তম বর্ষপূর্তিতে নয়া নিকৃষ্টের সাক্ষী থাকল এই মহান ফোরাম। যারা ঘৃণা ও হিংসায় প্ররোচনা দেয়, তাদের জন্য গলা ফাটিয়েছেন পাকিস্তানের নেতা। কিন্তু যখন নিজের ভাষণ চালিয়ে গেলেন, তখন আমরা ভাবতে বাধ্য হচ্ছিলাম, উনি কি নিজের কথাই বলছেন? এই কক্ষকে এমন একজনের লাগাতার ভুলভাল ভাষণ শুনতে হল, যাঁর নিজের স্বপক্ষে কিছু দেখানোর নেই, বড়াই করার মতো কোনও কৃতিত্ব নেই এবং বিশ্বের সামনে তুলে ধরার জন্য কোনও যুক্তিসঙ্গত পরামর্শ নেই। পরিবর্তে এই সভার মাধ্যমে মিথ্যা, ভুয়ো তথ্য, অন্য দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্ররোচনা এবং কুৎসা ছড়িয়ে পড়তে দেখলাম আমরা।'
তার আগে শুক্রবার সকালে কাশ্মীর ইস্যুতে নাক গলান ইমরান। জম্মু ও কাশ্মীরের আইনসভার পরিবর্তন, সেখানে ভারতীয় বাহিনীর উপস্থিতি, সংখ্যালঘুদের প্রতি ব্যবহারের মতো বিষয় নিয়ে যথারীতি মুখ খুলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, কাশ্মীর একটি পারমাণবিক দ্বন্দ্বের জায়গায় পরিণত হয়েছে। আন্তর্জাতিক নিয়মের ভিত্তিতে কাশ্মীর ইস্যু সমাধান না হওয়া পর্যন্ত দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি থাকবে না বলে মন্তব্য করেন ইমরান।
ইমরানের আক্রমণের পালটা ঝাঁঝালো প্রতিক্রিয়া দেন তরুণ কূটনীতিবিদ। তিনি বলেন, 'আমি স্পষ্টভাবে বলে দিচ্ছি, জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য ও অপরিহার্য অংশ। জম্মু ও কাশ্মীরে যে আইন ও নিয়ম কার্যকর করা হচ্ছে, তা একান্তভাবেই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়।কাশ্মীর নিয়ে যে সমস্যা রয়েছে, তা একমাত্র কাশ্মীরের সেই অংশে, যা পাকিস্তান এখনও অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে। আমরা পাকিস্তানকে স্পষ্ট বলছি, তাদের অধীনে অবৈধভাবে অধিকৃত যে যে এলাকা আছে, তা ছেড়ে দেওয়া হোক।'
সন্ত্রাসবাদ নিয়েও ইসলামাবাদকে চেপে ধরেন মিজিতো ভিনিতো। যিনি ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিসের ২০১০ সালের ব্যাচের অফিসার। তিনি বলেন, 'গত ৭০ বছরে বিশ্বের সামনে তুলে ধরার জন্য এই দেশের একমাত্র গৌরব হল সন্ত্রাসবাদ, জনজাতির নির্মূলীকরণ, মৌলবাদের বাড়বাড়ত্ব এবং গোপনে পারমাণবিক বাণিজ্য।'