বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > ‘বাংলাদেশে সন্ত্রাসের ঘটনা কমেছে’, বড় সার্টিফিকেট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের

‘বাংলাদেশে সন্ত্রাসের ঘটনা কমেছে’, বড় সার্টিফিকেট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের

‘বাংলাদেশে সন্ত্রাসের ঘটনা কমেছে’, বড় সার্টিফিকেট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্য পিটিআই)

বাংলাদেশে ২০২০ সালে সন্ত্রাসের ঘটনা কমেছে বলে বৈশ্বিক এক প্রতিবেদনে তুলে ধরেছে দেশটির বিদেশ মন্ত্রক৷

বাংলাদেশে ২০২০ সালে সন্ত্রাসের ঘটনা কমেছে বলে বৈশ্বিক এক প্রতিবেদনে তুলে ধরেছে দেশটির বিদেশ মন্ত্রক৷ এসেছে সন্ত্রাস বিষয়ক তদন্ত ও গ্রেফতার বাড়ার তথ্য৷ বৃহস্পতিবার ‘কান্ট্রি রিপোর্টস অন টেররিজমে' শীর্ষক এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়৷ বাংলাদেশে ওই বছর তিনটি সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটলেও তাতে কেউ মারা যাননি বলে জানানো হয়৷

এর আগে ‘গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের' অভিযোগে গত ১১ ডিসেম্বর র‌্যাব এবং এর বর্তমান ও প্রাক্তন সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ ও বিদেশ মন্ত্রক৷ এই নিষেধাজ্ঞার খবরে অসন্তোষ প্রকাশ করে ঢাকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রক৷ এই পদক্ষেপকে ‘খুবই দুঃখজনক' হিসেবে বর্ণনা করেন বিদেশমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন৷

বুধবার মার্কিন বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের সঙ্গে ফোনালাপের সময়ও প্রসঙ্গটি তোলেন তিনি৷ নিষেধাজ্ঞাটি দেশবাসী ‘গ্রহণ করেনি' বলেও তাকে জানান৷ বাংলাদেশের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে ‘আলোচনা' ও ‘আগে জানানোর' জন্য মার্কিন বিদেশমন্ত্রীকে আহ্বান জানান মোমেন৷ বৃহস্পতিবার এমন খবরের মধ্যে রাতে বাংলাদেশ নিয়ে ইতিবাচক তথ্য প্রকাশ পেল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশ মন্ত্রকের এ প্রতিবেদনে৷

প্রতিবেদনে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষ দুই ইউনিট র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাব) ও কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসিইউ) কার্যক্রম-সহ সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের পদক্ষেপ তুলে ধরা হয়েছে৷ এতে বলা হয়েছে, সিটিটিসিইউ ও র‌্যাব বিদেশের সঙ্গে যুক্ত জঙ্গি বা সন্ত্রাসীদের (ফরেন টেরোরিস্ট ফাইটার- এফটিএফ) গ্রেপ্তার বা তাদের বিষয়ে অনুসন্ধনে আমূল সংস্কার ও পুনর্বাসন কর্মসূচির পাশাপাশি কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম হাতে নিয়েছে৷

প্রতিবেদনে গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে পুলিশ বক্সে আইইডি বিস্ফোরণ, ৩১ জুলাই নওগাঁয় হিন্দু মন্দিরে হাতবোমা পুঁতে রাখা এবং ২৪ জুলাই গুলশনে পুলিশের মোটরসাইকেলে আইইডি রাখার ঘটনার উল্লেখ রযেছে৷ চট্টগ্রাম ও নওগাঁর ঘটনার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএসআইএস)৷ প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘গুলশনে পুলিশের মোটরসাইকেলে আইএস-সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীর আইইডি রাখার কথা বলা হলেও পরে তা ভুয়ো হিসেবে ধরা পড়ে৷’

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, আইএস ও আল কায়দার মত আন্তঃরাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে দেশি সন্ত্রাসীদের যোগাযোগ থাকার কথা অস্বীকার করে আসছে বাংলাদেশ সরকার৷ জঙ্গিদের বিষয়ে বাংলাদেশের ‘শূন্য সহিষ্ণুতা' নীতি নেওয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে৷ বলা হয়েছে, বিচার প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতার কারণে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে মামলা ঝুলে রয়েছে৷

প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশ মন্ত্রকের বলছে, সীমান্ত ও বন্দরগুলোতে নিয়ন্ত্রণ জোরালো করতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ৷ ‘ঢাকার হয়ত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উদ্বিগ্ন৷ টহলের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রশিক্ষিত বিস্ফোরক শনাক্তকারী কে-নাইন টিম সেখানে থাকলেও বিমানবন্দরে তাদের অবস্থান স্থায়ী নয়৷’

প্রতিবেদনের বিষয়ে এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর অন্তর্নিহিত বিষয়াদি তুলে ধরে প্রতিবছর প্রকাশিত কান্ট্রি রিপোর্টস অন টেররিজম৷ এটি যুক্তরাষ্ট্রকে নীতি, কর্মসূচি ও সম্পদ বণ্টনের ক্ষেত্রে তথ্যসমৃদ্ধ সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে; যার মাধ্যমে আমরা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক সক্ষমতা ও সহনশীলতা তৈরি করতে চাই৷’

বন্ধ করুন