প্রেমিকার সঙ্গে নতুন করে জীবন শুরু করতে চেয়েছিল যুবক। তার জন্য স্ত্রীকে ডিভোর্সও দিয়েছিল। কিন্তু, প্রেমিকার সঙ্গে নতুন জীবন শুরুতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল যুবকের দুই সন্তান। তাই পথের কাঁটা সরাতে নিজের দুই সন্তানকে ১৫ তলা থেকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিল যুবক। দীর্ঘদিন ধরে সেই মামলার বিচার চলছিল। অবশেষে যুগলকে মৃত্যুদণ্ড দিল আদালত। ঘটনাটি দক্ষিণ–পশ্চিম চিনে ঘটেছিল।
আরও পড়ুন: সন্তান নিজের নয়, সন্দেহের বশে ৮ মাসের শিশুকে থেঁতলে খুন করল বাবা
অভিযুক্ত যুবকের নাম ঝাং বো। ২০২০ সালে এই ঘটনা ঘটে। ঝাংয়ের সঙ্গে ইয়ে চেংচেনের বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। তাই বান্ধবীর সঙ্গে থাকতে চেয়ে প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স দেয় ঝাং। তবে দুই সন্তানকে সে নিজের কাছেই রেখে দিয়েছিল। তবে ইয়ে প্রথমে জানত না যে ঝাং বিবাহিত এবং তার সন্তান রয়েছে। ফলে তাতে মোটেই সন্তুষ্ট ছিল না ইয়ে চেংচেন। তাই বান্ধবীর কথা মেনে দুই শিশুকে জানলা দিয়ে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিল ঝাং।
যদিও প্রথমে নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেনি যুগল। এর আগে ঝাং দাবি করেছিল, সে ঘুমিয়ে ছিল। সেইসময় তার কন্যা ঝাং রুইক্সু (২) এবং পুত্র ঝাং ইয়াংরুই (১) জানালা থেকে পড়ে গিয়েছিল। সে দাবি করেছিল, একটি ঘাসের লনে সন্তানদের মৃতদেহ দেখতে পেয়ে নীচে লোকজন চিৎকার করায় ঘুম ভেঙে গিয়েছিল। তারপর তার একটি ছবি তোলা হয়, যাতে তাকে দেওয়ালে মাথা ঠেকিয়ে কাঁদতে দেখা যায়। তবে সেটি প্রতারণার জন্য করা হয়েছিল বলে জানা যায়। নিচে পড়ে যাওয়ার পর ছোট মেয়েটি সঙ্গে সঙ্গে মারা যায় এবং ছেলেটি আঘাত পাওয়ার কিছুক্ষণ পরে মারা যায়। ঘটনায় কান্নায় ভেঙে পড়েন ঝাং–এর স্ত্রী চেন মেইলিন। এই ঘটনার জন্য তিনি তার স্বামী এবং তার প্রেমিকার দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাং শিশুদের হত্যা করার জন্য ইয়ের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করার কথা স্বীকার করেছে। আদালতে চেন দাবি করেছে যে তার প্রাক্তন স্বামী কেঁদেছিল এবং তার কাজের জন্য ক্ষমা চেয়েছিল। যদিও তার বান্ধবী ইয়ে ক্রমাগত অভিযোগ অস্বীকার করেছিল। চায়না ডেইলি গত বছর প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, দুই শিশু বহুতলের ১৫ তলা থেকে পড়ে গিয়েছিল। তাতে ষড়যন্ত্র প্রমাণিত হওয়ায় দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।