বাংলার পর পর নির্বাচনে পর্যদুস্ত হয়েছে বিজেপি। তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের শক্তি দেখিয়েছে। এবার অন্যান্য রাজ্যেও তারা সংগঠন বিস্তার করছে। এই পরিস্থিতিতে এবার ত্রিপুরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরের ঠিক পরেরদিনই সেখানে ঝাঁপাতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং জেপি নড্ডা। ত্রিপুরা পুরসভায় এখন তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান বিরোধী দল। বিপ্লব দেব সরকারকে চাপে রেখেছে তাঁরা। তাই সেখানে গিয়ে সংগঠন চাঙ্গা করতে চাইছেন মোদী–নড্ডা বলে খবর।
একদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন বছরে আগরতলায় পা রাখতে চলেছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজভবন অভিযানের দিন তিনি সেখানে থাকবেন বলে সূত্রের খবর। ঠিক তার পরদিনই ত্রিপুরায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। এই সূচি প্রকাশ্যে আসতেই বোঝা যাচ্ছে নতুন বছরের শুরুতেই সরগরম হয়ে উঠবে ত্রিপুরা। তাই সেখানে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
কবে ত্রিপুরায় কারা পা রাখছেন? তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, আগামী ২ জানুয়ারি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগরতলায় আসথেন। তিনি ফিরবেন ৩ জানুয়ারি। আর ৪ জানুয়ারি আগরতলা আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং জেপি নড্ডা। এই সফর নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব বলেন, ‘আগামী ৪ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী আগরতলায় আসবেন। আগরতলার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্বোধন করবেন। আসতে পারেন বিজেপির সভাপতি জেপি নড্ডাও।’
আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফর নিয়ে তৃণমুল কংগ্রেসের আহ্বায়ক সুবল ভৌমিক বলেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আসবেন ২ জানুয়ারি। ৩ জানুয়ারি তিনি কলকাতায় ফিরে যাবেন।’ আগামী বছর ২০২৩ সালে ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন। এখানের পুরসভা নির্বাচনে ২০ শতাংশ ভোট পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই নির্বাচনকে সামনে রেখেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে তাঁরা বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
তবে গোটা বিষয়টি নিয়ে বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার বলেন, ‘আর দেড় বছর রয়েছে এই সরকারের মেয়াদ। তারপরই ক্ষমতায় আসছে সিপিআইএম।’ ত্রিপুরায় লাগাতার আক্রমণের মুখে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস, সিপিআইএম। কিন্তু লড়াই জারি রেখেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই তিন মাসের মধ্যে এতটা সাফল্য পেয়েছে ঘাসফুল শিবির। নতুন বছর ২০২২ থেকে সেই লড়াই–আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়বে বলে তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর।