মল্লিকা সোনি
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ছায়াসঙ্গী বলে পরিচিত সিকিউরিটি কাউন্সিলের সচিব নিকোলাই পাত্রুসেভ। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের খবর, ওয়াগনার মেশিনারি গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিনকে নিকেশ করার নির্দেশ তিনিই দিয়েছিলেন। ইউক্রেন যুদ্ধের সময়তেও রাশিয়ার সেনার অন্য়তম বড় অংশ ছিল এই ওয়াগনার গ্রুপ। তবে ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে এই সম্পর্কের অবনতি হয়। পরে রীতিমতো বিদ্রোহ শুরু করে দেয় তারা।
প্রিগোজিন এরপর তথাকথিত মার্চ অফ জাস্টিস যাত্রার অংশ হিসাবে মস্কোর দিকে এগিয়ে আসতে থাকেন। এদিকে অগস্ট মাসে প্রিগোজিন ও অন্যান্য ওয়াগনার কমান্ডারদের মৃত্যু হয় প্লেন বিপর্যয়ে।
সিকিউরিটি কাউন্সিলের সচিব নিকোলাই পাত্রুসেভ দীর্ঘদিন ধরেই প্রিগোজিনকে দেশের পক্ষে ভয়ঙ্কর বলেই মনে করেন।
নিকোলাই পাত্রুসেভ ভ্লাদিমির পুতিনের ক্ষমতায় থাকার সময় থেকেই তাঁর ছায়াসঙ্গী হিসাবে রয়েছেন। তাঁকে রাশিয়ার দ্বিতীয় শক্তিশালী মানুষ হিসাবে গণ্য করা হয়। আর রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, বিদ্রোহের পর থেকে প্রিগোজিনকে শাস্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত তিনি নিয়ে ফেলেন। আসলে ক্ষমতার রাশ কার হাতে থাকবে তা নিয়ে প্রতিযোগিতাও চলছিল বলে খবর। প্রিগোজিন প্রচুর শক্তি সঞ্চয় করে ফেলছিলেন বলেও খবর।
প্রিগোজিনের ব্যাপারে ঠিক কী বলেছিলেন পুতিন?
প্লেনে বিস্ফোরণের কিছুক্ষণ পরেই মৃত্যু হয়েছিল প্রিগোজিনের। রাশিয়ান নেতৃত্বের মতে, বিমান চালানোর সময় কোনওভাবে গ্রেনেড ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনও ভুল হয়ে গিয়েছিল। তার জেরে গোটা প্লেনটিই উড়ে যায় বিস্ফোরণে। WSB রিপোর্ট বলছে প্রিগোজিনের প্লেন যখন মস্কো এয়ারপোর্টে ছিল তখন তার পাখার সঙ্গে একটা ছোট বোম বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। তার জেরেই বিস্ফোরণ হয়।
তবে ক্রেমলিন ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের রিপোর্টকেও মানতে চায়নি।