গত ২৩ জুন দেশের ছয় রাজ্যের তিন লোকসভা ও সাতটি বিধানসভা আসনের জন্য উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ছিল ত্রিপুরার চারটি বিধানসভা আসন। সেখানে ভাগ্য নির্ধারণ হওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার। আবার তৃণমূল কংগ্রেসও ত্রিপুরার জমিতে নিজেদের পা শক্ত করতে চাইছিল এই নির্বাচনে। অপরদিকে কংগ্রেস, সিপিএমও নিজেদের হারানো জমি ফিরে পেতে মরিয়া ত্রিপুরায়। আগের বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে উপ নির্বাচনের এই চারটি আসনের মধ্যে তিনটি ছিল বিজেপি-র দখলে। এই আবহে দিনভর বিক্ষিপ্ত হিংসার অভিযোগ ওঠে বিরোধীদের তরফে। কংগ্রেস পোলিং এজেন্টকে বুথ থেকে বের করে দেওয়া থেকে ভোটারদের মারধরের অভিযোগ ওঠে। এরই মাঝে ৭৬ শতাংশ ভোট পড়ে চার কেন্দ্রে। আজ সেই উপনির্বাচনের ফল প্রকাশ।
ত্রিপুরার ফল নিয়ে তৃণমূলকে খোঁচা অমিতের
টুইট বার্তায় অমিত মালব্য লেখেন, ‘ত্রিপুরায় নির্বাচনে যাওয়া ৩/৪টি আসনে বিজেপি জিতেছে। টাউন বারদোয়ালী বিধানসভা কেন্দ্র থেকে স্বাচ্ছন্দ্যে জিতেছেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। কিন্তু আসল খবর হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টিএমসি সমস্ত কেন্দ্রেই চতুর্থ স্থানে রয়েছে এবং জমামানত হারিয়েছে।’ এরপর অমিত মালব্য আরও লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গেও একই হাল হবে তৃণমূলের।’
উত্তরপ্রদেশে বিজেপির বড় জয়
রামপুর এবং আজমগড় – সমাজবাদী পার্টির দুর্গ হিসেবে পরিচিত এই দুই কেন্দ্রই। মুসলিম অধ্যুষিত এই দুই কেন্দ্রে সমাজবাদী পার্টি ‘মুসলিম-যাদব’ ফর্মুলাতে জিতে এসেছে বহু বছর ধরে। তবে উপনির্বাচনে শেষ পর্যন্ত সেই জয়রথ থমকে গেল। বিস্তারিত পড়ুন
কংগ্রেসকে অক্সিজেন দিয়েছে সুদীপের জয়
রবিবার গণনা শেষে দেখা যায়, আগরতলা আসন থেকে সুদীপ রায় বর্মণ পেয়েছেন ১৭,২৪১ ভোট। বিজেপি প্রার্থী অশোক সিনহাকে তিনি হারিয়েছেন ৩১৬৩টি ভোটে। যা কংগ্রেসকে অক্সিজেন দিয়েছে। ত্রিপুরায় ক্রমাগত ক্ষয়িষ্ণু হয়েছে কংগ্রেস। সেখানে সুদীপ রায় বর্মণ জিতে কংগ্রেসকে নতুন করে লড়াই করার অক্সিজেন দিল বলে মনে করা হচ্ছে।
সমাজবাদীর শক্ত গড়ে বিজেপির জয়
উত্তরপ্রদেশের আজমগড় এবং রামপুর এই দুই কেন্দ্রই সমাজবাদী পার্টির গড় হিসেবে পরিচিত। এই দুই কেন্দ্রের উপনির্বাচনেই বড় জয় পেল বিজেপি।
ত্রিপুরায় কেমন দাঁড়াল তৃণমূল কংগ্রেসের অবস্থা?
ত্রিপুরাকে পাখির চোখ করা তৃণমূল কংগ্রেস চারটি আসনের কোনও আসনেই আশাপ্রদ ফল করতে পারেনি। সব কেন্দ্রেই শোচনীয় ফল হয়েছে তাদের। এখানে তৃণমূল কংগ্রেস গড়ে ৩ শতাংশ ভোট পেয়েছে।
রাজিন্দর নগরে জয়ী AAP
দিল্লিতে রাজিন্দর নগর বিধানসভা উপনির্বাচনে আম আদমি পার্টি ১১,৫৫৫ ভোটে জিতেছে।
রামপুরে এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি
রামপুর লোকসভা উপনির্বাচনের ট্রেন্ড অনুযায়ী এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি। এখানে সমাজবাদী পার্টি প্রার্থী অসীম রাজা পেয়েছেন ৩,০০,৭৯৬ ভোট, বিজেপি প্রার্থী ঘনশ্যাম লোধি পেয়েছেন ৩,১৭,০১২ ভোট৷
আজমগড়ে ঘুরে দাঁড়াল বিজেপি
আজমগড় লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজেপি এগিয়ে গেল। বেলা ১ টায় পাওয়া খবর অনুযায়ী, এসপি প্রার্থী ধর্মেন্দ্র যাদব পেয়েছেন ১,৫৯,৩৭৯ ভোট, বিজেপি প্রার্থী দীনেশ লাল যাদব পেয়েছেন ১,৬০,২২৭টি ভোট, বিএসপি প্রার্থী- শাহ আলম গুড্ডু জামালি পেয়েছেন ১,৩৬,৬১৭টি ভোট।
আগরতলা থেকে জয়ী সুদীপ রায় বর্মন
আগরতলা থেকে জয়ী কংগ্রেস প্রার্থী সুদীপ রায় বর্মন। প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন এ বার কংগ্রেসের টিকিটে লড়েন আগরতলা কেন্দ্র থেকে। দীর্ঘদিন বিপ্লব কুমার দেবের সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণে শেষ পর্যন্ত দল ছেড়ে নিজের পুরোনো দল কংগ্রেসে নাম লেখান সুদীপ। দলবদলের সময় বিধায়ক পদ ছাড়েন তিনি। তাই এই কেন্দ্রের ফের নির্বাচন হয়।
টাউন বড়দোয়ালীতে জয়ী মুখ্যমন্ত্রী
টাউন বড়দোয়ালীতে জয়ী মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। বিজেপি- ১৭,১৮১, কংগ্রেস- ১১,০৭৭, ফরওয়ার্ড ব্লক - ৩৩৭৬, তৃণমূল কংগ্রেস - ৯৮৬।
আগরতলায় এখনও পিছিয়ে বিজেপি
বিজেপি- ১৪,২৬৮কংগ্রেস - ১৭,৪৩১সিপিএম - ৬৮০৮তৃণমূল কংগ্রেস - ৮৪২
টাউন বড়দোয়ালী আসনে ৬ হাজারে এগিয়ে মানিক
বিজেপি- ১৭,১৮১কংগ্রেস- ১১,০৭৭ফরওয়ার্ড ব্লক - ৩৩৭৬তৃণমূল কংগ্রেস - ৯৮৬
রামপুর লোকসভা উপনির্বাচনের ফলাফল
রামপুর লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে SP প্রার্থী অসীম রাজা এখনও পর্যন্ত ১,,১৩,৯৬২ ভোট পেয়েছেন, বিজেপি প্রার্থী ঘনশ্যাম লোধি পেয়েছেন ১,০৬,৯৯০ ভোট৷
অন্ধ্রপ্রদেশের আত্মকূরে জগনের দলএগিয়ে
আত্মকূর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে সর্বশেষ ফলাফলYSRCP- ৩১,৪৭৪বিজেপি- ৬৬১৮NOTA-১৩৪১এগিয়ে-YSRCP (২৫,৮৫৬)
জুবরাজনগরে ৪ হাজার ভোটে এগিয়ে বিজেপি
ত্রিপুরার জুবরাজনগর আসন থেকে সর্বশেষ ফল:বিজেপি- ১৮,৩৮১ ভোটসিপিএম-১৪০৬১ ভোটকংগ্রেস- ১৪১৮ ভোটতৃণমূল - ১০৭৩ ভোট
আজমগড়ে এগিয়ে সমাজবাদী পার্টি
সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে পাওয়া খবর অনুযায়ী আজমগড় লোকসভা উপনির্বাচনে এসপি প্রার্থী ধর্মেন্দ্র যাদব পেয়েছেন ৪৬,২৫৪ ভোট, বিজেপি প্রার্থী দিনেশ লাল যাদব পেয়েছেন ৩৭,০৭৭ ভোট, বিএসপি প্রার্থী শাহ আলম গুড্ডু জামালি পেয়েছেন ৩৬,০৪৯ ভোট।
আগরতলা আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই
আগরতলা আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চললেও আপাতত এগিয়ে কংগ্রেসের সুদীপ রায় বর্মণ।
টাউন বড়দোয়ালী আসনে আরও এগিয়ে গেলেন মানিক
টাউন বড়দোয়ালী আসনে আরও এগিয়ে গেলেন মানিক সাহা। এই কেন্দ্রে বিজেপি এখনও পেয়েছে ৬০৫৭ ভোট। দ্বিতীয় স্থানে থাকা কংগ্রেস পেয়েছে ৪২৮১ ভোট।
রামপুরে এগিয়ে সমাজবাদী পার্টি
সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী অসীম রাজা রামপুর লোকসভা আসন থেকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির ঘনশ্যাম লোধির থেকে ৮০০ ভোটে এগিয়ে প্রথম রাউন্ডের গণনার পরে।
পঞ্জাবের সাঙ্গারুরে এগিয়ে অকালি
সাঙ্গারুর উপনির্বাচনে শিরোমণি আকালি দলের (অমৃতসর) সিমরনজিৎ সিং মান এগিয়ে; এই কেন্দ্রে দ্বিতীয় স্থানে আম আদমি পার্টির গুরমাইল সিং।
আজমগড় থেকে এগিয়ে সমাজবাদী পার্টি
দ্বিতীয় দফার গণনা শেষে উত্তরপ্রদেশের আজমগড় লোকসভা কেন্দ্র থেকে এগিয়ে সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী ধর্মেন্দ্র যাদব।
যুবরাজনগরে এগিয়ে বিজেপি
যুবরাজনগরে ২২৬০ ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে বিজেপি প্রার্থী মলিনা দেবনাথ। সিপিএম বিধায়ক রমেন্দ্র দেবনাথের মৃত্যুতে উপনির্বাচন হয় যুবরাজনগর বিধানসভা কেন্দ্রে।
আগরতলা কেন্দ্রে এগিয়ে সুদীপ রায় বর্মন
আগরতলা কেন্দ্রে এগিয়ে সুদীপ রায় বর্মন। প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন এ বার কংগ্রেসের টিকিটে লড়েন আগরতলা কেন্দ্র থেকে। দীর্ঘদিন বিপ্লব কুমার দেবের সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণে শেষ পর্যন্ত দল ছেড়ে নিজের পুরোনো দল কংগ্রেসে নাম লেখান সুদীপ। দলবদলের সময় বিধায়ক পদ ছাড়েন তিনি। তাই এই কেন্দ্রের ফের নির্বাচন হয়।
টাউন বড়দোয়ালী আসনে এগিয়ে মানিক
টাউন বড়দোয়ালী আসনে এগিয়ে গিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী তথা ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। প্রাথমিক কয়েক রাউন্ড গণনা পর মানিক সাহা পেয়েছেন ৩৮৬৪টি ভোট। ২৭৩৩টি ভোট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কংগ্রেস।
উপনির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৭৬.৬২ শতাংশ
বিক্ষিপ্ত হিংসার অভিযোগের মধ্যেই সম্পন্ন হয়েছিল চার কেন্দ্রের উপনির্বাচন। ভোট পড়েছিল ৭৬.৬২ শতাংশ।
যুবরাজনগরে চতুর্মুখী লড়াই
সিপিএম বিধায়ক রমেন্দ্র দেবনাথের মৃত্যুতে উপনির্বাচন হয় যুবরাজনগর বিধানসভা কেন্দ্রে। যুবরাজনগরে মৃণাল কান্তি দেবকে দাঁড় করায় তৃণমূল কংগ্রেস। সিপিএম এখানে দাঁড় করায় শৈলেন্দ্র চন্দ্র নাথকে। কংগ্রেসের প্রার্থী হন সুস্মিতা দেবনাথ। বিজেপি প্রার্থী করে মলিনা দেবনাথকে।
নজরে সুরমা
ধলাই জেলার সুরমা বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি, তৃণমূল ও বামেরা প্রার্থী দিয়েছিল। অপরদিকে কংগ্রেস সমর্থন করছে উপজাতি দল তিপ্রা মথাকে। বিজেপি বিধায়ক আশিস দাস তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় আসনটি খালি হয়েছিল। এই আসনে সিপিএম-এর প্রার্থী ছিলেন অঞ্জন দাস। বিজেপি প্রার্থী করে স্বপ্না দাসকে। এদিকে তৃণমূলের প্রার্থী হন অর্জুন নমঃশূদ্র।
আগরতলায় সুদীপ রায় বর্মনের পরীক্ষা
প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন এ বার কংগ্রেসের টিকিটে লড়েন আগরতলা কেন্দ্র থেকে। দীর্ঘদিন বিপ্লব কুমার দেবের সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণে শেষ পর্যন্ত দল ছেড়ে নিজের পুরোনো দল কংগ্রেসে নাম লেখান সুদীপ। দলবদলের সময় বিধায়ক পদ ছাড়েন তিনি। তাই এই কেন্দ্রের ফের নির্বাচন হয়। এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হন পান্না দেব এবং বিজেপির প্রার্থী অশোক সিংহ।
মুখ্যমন্ত্রী মানিকের পরীক্ষা
টাউন বড়দোয়ালী আসনে লড়েন বিজেপি নেতা তথা ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। ২০১৮ সালে বিজেপির হয়ে আশিস সাহা ওই কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন। তবে পরবর্তীতে তিনি দল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন। পাশাপাশি বিধানসভা থেকেও পদত্যাগ করেন। এর জেরে উপনির্বাচন এই কেন্দ্রে। এই উপনির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিটে মানিকের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন আশিস। এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী সংহিতা ভট্টাচার্য।