ত্রিপুরার রাজস্ব দফতরের মন্ত্রী তথা বিজেপির সহযোগী ইনডিজেনাস পিপলস ফ্রন্ট অফ ত্রিপুরার প্রধান নরেন্দ্র চন্দ্র দেববর্মা প্রয়াত হয়েছেন। ররিবার তিনি হাসপাতালে প্রয়াত হয়েছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। গত ৩০ ডিসেম্বর তাঁকে গোবিন্দ বল্লভ পন্থ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তাঁর ব্রেন স্ট্রোক হয়েছিল। তাঁর ব্রেনে রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছিল। পরে তাঁর সার্জারি করা হয়। তাঁকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটেও ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে তাঁকে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রাখা হয়।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা জানিয়েছেন, রাজ্যমন্ত্রিসভার সদস্য শ্রী এনসি দেবশর্মার প্রয়াণে আমরা শোকস্তব্ধ। শোকস্তব্ধ পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা রইল। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।
রাজ্য়সভার এমপি তথা ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব জানিয়েছেন,নরেন্দ্র চন্দ্র দেববর্মার প্রয়ানে আমি শোকাহত। আমাদের সরকারের সহযোগী IPFT'র নেতৃত্ব ছিলেন। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করছি।
১৯৯৭ সালে তৈরি হয়েছিল আইপিএফটি। তবে পরবর্তী সময়ে এর প্রভাব কিছুটা কমতে থাকে। তবে এনসি দেববর্মার নেতৃত্বে আইপিএফটি দীর্ঘ আন্দোলন করেছে। তিপরাল্যান্ড তৈরির দাবিতে দীর্ঘ আন্দোলনে নেমেছিল আইপিএফটি। ত্রিপুরার পাশাপাশি দিল্লিতেও তারা এই আন্দোলনে নামে।
এদিকে এই দীর্ঘ প্রতিবাদ আন্দোলনের জেরে আইপিএফটি অনেকেরই নজর কাড়ে। বিজেপি আইপিএফটির সঙ্গে গাটছড়া বেঁধে ত্রিপুরা থেকে বামেদের সরাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। এনিয়ে টানা লড়াই চলে। দীর্ঘ দুদশক ধরে ক্ষমতায় ছিল বামেরা। এরপর বিজেপি ও আইপিএফটি শেষ পর্যন্ত ত্রিপুরার মাটি থেকে বামেদের উৎখাত করতে সমর্থ হয়।
তবে বাম বিরোধী আন্দোলের অন্যতম নেতা হিসাবে পরিচিত ছিলেন আইপিএফটি নেতা এনসি দেববর্মা। ত্রিপুরার রাজনীতিতে তিনি ছিলেন অত্যন্ত পরিচিত নাম। তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন। রাজ্যের নানা রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়েছিলেন তিনি। তাঁর প্রয়াণে কার্যত একটি যুগের অবসান হল এবার। আইপিএফটির আগে তিনি একাধিক আঞ্চলিক দলের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত ছিলেন। ত্রিপুরা উপজাতি যুব সমিতি, ত্রিপুরা হিল পিপলস পার্টি, ত্রিপুরা ন্যাশানাল কাউন্সিল সহ একাধিক সংগঠনের সঙ্গে আগে জড়িয়েছিলেন তিনি।