ফের একবার রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে কাশ্মীর ইস্যু উত্থাপন করলেন তুর্কি রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। ভারতের পক্ষ থেকে তীব্র আপত্তি তোলার পরও এরদোগান এই অবস্থান গ্রহণ করেছেন। তিনি গতকাল রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় বক্তব্য রাখার সময় বলেন, ‘এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে ভারত ও পাকিস্তান স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। কাশ্মীরে ন্যায্য ও স্থায়ী শান্তি আশা করছে।’
এদিকে এরদোগান কাশ্মীর ইস্যু তুলতেই ভারতও সাইপ্রাস নিয়ে তুরস্ককে পালটা খোঁচা মেরেছে। এরদোগানের বিবৃতির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর তুর্কি বিদেশমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলুর সঙ্গে দেখা করেন। সেই সময় জয়শঙ্কর সাইপ্রাসের বিষয়টি উত্থাপন করেন। এই বৈঠকের আলোচ্য বিষয় নিয়ে জয়শঙ্কর টুইটও করেন। তিনি লিখেছেন, 'তুরস্কের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হয়েছে এবং তাঁর সঙ্গে অনেক বিষয়ে কথা হয়েছে। তার মধ্যে ইউক্রেনের সংকট রয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা, G20 দেশের সম্মেলন এবং সাইপ্রাস নিয়েও কথা হয়েছে।
তবে গতকাল এরদোগানের কাশ্মীর প্রসঙ্গ উত্থাপনে ‘ভিন্ন সুর’ খুঁজে পেয়েছেন অনেকেই। এর আগে কাশ্মীর নিয়ে বলতে গেলেই একতরফা ভাবে পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে কথা বলতেন এরদোগান। তবে বুধবারে তাঁর বক্তব্য পাকিস্তান বন্দনা ছিল না। মনে হচ্ছে, শাংহাই কোঅপারেশন অর্গনাইজেশনের সম্মেলনের সময় মোদীর সঙ্গে এরদোগানের বৈঠকের ফলেই এই ‘সুর বদল।’ এরদোগান রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘ভারত এবং পাকিস্তান স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরও একে অপরের মধ্যে শান্তি ও সংহতি প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক। আমরা আশা করি এবং প্রার্থনা করি যে কাশ্মীরে স্থায়ী শান্তি ও সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠিত হবে।’