এমনিতেই বিতর্কের মুখে পড়েছে টুইটার। শোকজ নোটিশও জারি করেছে কেন্দ্র। তারইমধ্যে বৃহস্পতিবার রাতের দিকে গায়েব হয়ে গিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের টুইটার অ্যাকাউন্টের প্রোফাইল পিকচার। কিছুক্ষণ পর অবশ্য তা আবার ফিরে হয়ে যায়।
বৃহ্স্পতিবার রাত সাড়ে ১১ টার পর অনেকেই দেখেন, শাহের টুইটার অ্যাকাউন্টের প্রোফাইল পিকচার দেখাচ্ছে না। প্রোফাইল পিকচারে ক্লিক করলে ফুটে উঠছে, 'মিডিয়া দেখানো হচ্ছে না। এক কপিরাইটধারীর রিপোর্টের ভিত্তিতে এই ছবিটি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।' তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। কী কারণে শাহের প্রোফাইল পিকচার গায়েব হয়ে গিয়েছে, সেই প্রশ্ন উঠতে থাকে।
মিনিট কুড়ির মধ্যে অবশ্য আবারও শাহের টুইটারে অ্যাকাউন্টে ছবি ফিরে আসে। ভুল করে এই কাজ করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে টুইটার।
টুইটারের মুখপাত্র জানিয়েছেন যে বিশ্বজনীন কপিরাইট নীতির জেরে অমিত শাহের টুইটার ডিসপ্লে পিকচার তারা সরিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু খুব দ্রুত সেই ভুল শুধরে নেওয়া হয়েছে ও এখন কোনও সমস্যা নেই বলেই তিনি জানিয়েছেন।
এর আগে একাধিকবার ভুলভাবে লেহের অবস্থান (জিওট্যাগিং) দেখানোর জন্য গত ২২ অক্টোবর টুইটারকে চিঠি লিখেছিল কেন্দ্র। তাতে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়, ভুল শুধরে না নিলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জিওট্যাগিংয়ে লেহকে চিনের জায়গা হিসেবে উল্লেখ করা নিয়েই বিতর্ক শুরু হয়েছিল। টুইটারের এক মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, সংস্থার তরফে চিঠির উত্তর দেওয়া হয়েছে।
নাম গোপন রাখার শর্তে এক আধিকারিক বলেন, ‘আমরা দেখেছি যে ওরা চিন থেকে পালটে লেহ করে দিয়েছে।’ একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের অন্তর্গত এলাকা হিসেবে লেহকে দেখানোর জন্য টুইটার এখনও মানচিত্র সংশোধন করেনি। তাতে এখনও লেহকে জম্মু ও কাশ্মীরের অংশ হিসেবে দেখানো হচ্ছে। যা ভারতের সরকারি অবস্থানের পরিপন্থী।’ তিনি জানান, জিওট্যাগিংয়ের বিপত্তির ব্যাখ্যা চেয়ে গত ৯ নভেম্বর টুইটারকে শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। কেন সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে টুইটারকে পাঁচদিন সময় দেওয়া হয়েছে।