গত ২৬ ফেব্রুয়ারি আমেরিকায় প্রথম করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছিল। তার ঠিক তিন মাস এক দিনের মাথায় মার্কিন মুলুকে করোনায় মৃতের সংখ্যা ১০০,০০০ ছাড়িয়ে গেল। Worldometers-এর তথ্য অনুযায়ী, স্পেন, ইতালি, ব্রিটেন এবং চিনের সম্মিলিত মৃতের সংখ্যা আমেরিকার থেকে সামান্য কম।
শুধু তাই নয়, সংবাদসংস্থা রয়টার্সের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কোরিয়া যুদ্ধ, ভিয়েতনাম যুদ্ধ এবং ইরাকে মার্কিন দ্বন্দ্ব (২০০৩-২০১১ সালের মধ্যে) মিলিয়ে যতজনের প্রাণহানি হয়েছে, গত তিন মাসে মার্কিন মুলুকে তার থেকে বেশি মানুষের করোনায় মৃত্যু হয়েছে। ১৯৮১-১৯৮৯ সালে এইডস মহামারীর থেকেও করোনায় প্রাণহানির সংখ্যা ঢের বেশি। আক্রান্তের সংখ্যাও ১৭ লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছে।
আমেরিকার এক-তৃতীয়াংশ করোনার মৃত্যুর খবর এসেছে নিউ ইয়র্ক প্রদেশ থেকেই। এছাড়াও দক্ষিণের একাধিক প্রদেশগুলি থেকেও নতুন করে অনেক করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলছে। ট্রাম্প প্রশাসনের উদ্বেগ বাড়িয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দৈনন্দিন মৃত্যুও বেড়েছে। সংবাদসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, আগের টানা তিনদিন মৃতের সংখ্যা ৭০০-র নীচে থাকছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,৪০১।
সেই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেই অবশ্য বাড়িতে থাকার কড়া নির্দেশিকা প্রত্যাহারের পথে হাঁটছে আমেরিকার অধিকাংশ প্রদেশ। আগামী নভেম্বরে ভাগ্য পরীক্ষায় বসতে চলা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও অর্থনীতির চাকা ঘোরাতে মরিয়া। যা নির্বাচনের আগে তাঁর কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।
তবে ওয়াশিংটনের পক্ষে একটাই আশার আলো যে মৃতের সংখ্যা বেশি হলেও মাথাপিছু মৃত্যুর নিরিখে একাধিক ইউরোপীয় দেশের পিছনে রয়েছে আমেরিকা। রয়টার্সের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বের সর্বাধিক করোনা প্রভাবিত ২০ টি দেশের মধ্যে আমেরিকা অষ্টম স্থানে রয়েছে। সেখানে প্রতি ১০,০০০ জনে তিনজনের করোনায় মৃত্যু হয়েছে। প্রথম স্থানে থাকা বেলজিয়ামে আটজন মারা গিয়েছেন। তারপর স্পেন, ব্রিটেন এবং ইতালি রয়েছে।