কাবুলের পতন হয়ে গিয়েছে। আফগান রাষ্ট্রপতি ভবনে তালিবানদের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বে। এদিকে আশরাফ ঘানি আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপতি পদ থেকে পদত্যাগ করে পাড়ি দিয়েছেন অন্য দেশে। এই আবহে তালিবানদের প্রতি বার্তা পাঠালেন মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিনকেন। রবিবার মার্কিন সংবাদ সংস্থা সিএনএন-কে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে ব্লিনকেন বলেন, 'তালিবানের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত আমেরিকা, তবে তার আগে তাদের নিশ্চিত করতে হবে যে সেদেশে কোনও ভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হবে না। বিশেষ করে মহিলাদের অধিকার কোনও ভাবে খর্ব করা হবে না। পাশাপাশি জঙ্গিদেরও কোনও ভাবে সেদেশে আশ্রয় দিতে পারবে না তালিবান।'
ভবিষ্যতের তালিবানি সরকারের উদ্দেশে ব্লিনকেনের বার্তা, 'যদি কোনও সরকার যদি মানবাধইকার লঙ্ঘন করে, মহিলাদের মৌলিক অধিকার ছিনিয়ে নেয়, জঙ্গিদের সাহায্য করে তাহলে আমরা কোনও ভাবেই তাদের সঙ্গে কাজ করব না।' পাশাপাশি ব্লিনকেন জানান, তালিবানের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠবে না বা তাদের ভ্রমণ করার ছাড়ও দেওয়া হবে না।
গজনি, হেরাত, কান্দাহারের পর রবিবার কাবুলও দখল করে তালিবান। এই আবহে রবিবার সারাদিন ধরেই আতঙ্কের মধ্যে কাটিয়েছেন বেশিরভাগ আফগানরা। আশরাফ ঘানির দেশত্যাগের পর তালিবান পুরোপুরি কাবুলের দখল নিয়ে নেয়। এরপর আফগান সরকারের পতন হয়। আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপতি ভবনও চলে যায় তালিবানি দখলে। সূত্রের খবর, আফগানিস্তানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে তালিবান।