ফেল করেছে মার্কিন খনন যন্ত্র। উত্তরকাশীর টানেলে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করতে এখন ভরসা রাখা হচ্ছে শাবল ও গাঁইতির ওপরই। এদিকে আজ থেকে পাহাড়ের ওপর থেকে খনন কাজ শুরু হবে। এই 'ভার্টিকা ড্রিল' করার জন্য হায়দরাবাদ থেকে যন্ত্র আনানো হয়েছে। বর্ডার রোড অর্গনাইজেশন তড়িঘড়ি শনিবারই তা যথা স্থানে পৌঁছে দেয়। উপর দিক থেকে খোঁড়া হলে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছতে ৮৬ মিটার ধ্বংসস্তূপ সরাতে হবে বলে জানা গিয়েছে। তাতে অনেকটাই সময় লাগবে। (আরও পড়ুন: আজই সাগরে তৈরি হচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত, কোথায় হবে বৃষ্টি? জন্ম নেবে ঘূর্ণিঝড়?)
প্রসঙ্গত, গত ১৪ দিন ধরে উত্তরকাশীর টানেলে আটকে রয়েছেন বাংলার ৩ সহ মোট ৪১ জন শ্রমিক। বিগত কয়েকদিনে উদ্ধারকাজে গতি এসেছিল। তবে হিমালয়ের খামখেয়ালিপনার জেরে বারবারই থমকেছে ড্রিলিংয়ের কাজ। এর জেরে এখনও টানেলে বসেই প্রহর গুনতে হচ্ছে ৪১ জন শ্রমিককে। বিগত দিনে দু'বার হিমালয়ের খামখেয়ালিপনায় আটকে যায় উদ্ধারকাজ। গত বৃহস্পতিবারের মতো শুক্রবারও ফের একবার ড্রিল করতে গিয়ে পাহাড়ে কোনও এক ধাতব বস্তুর মুখোমুখি হতে হয় উদ্ধারকর্মীদের। এর জেরে ড্রিল মেশিন থমকে যায়। এর আগে শুক্রবার সাংবাদিকদের জানানো হয়েছিল, আরও ১২ মিটার ড্রিল করলেই আটকে থাকা শ্রমিকদের কাছে পৌঁছানো যাবে। তবে সেটুকু পথ পাড়ি দিতেই অনেক বাধার মুখে পড়তে হয় অগার মেশিনকে। এই আবহে অগার মেশিনের সাহায্যে ড্রিল করার বিকল্প থেকে সরে আসে উদ্ধারকারী দল। অথচ গত বুধবার সন্ধ্যা-রাতের দিকে মনে করা হচ্ছিল, যে কোনও মুহূর্তে আটকে থাকা ৪১ শ্রমিককে উদ্ধার করা সম্ভব হবে। এরই মাঝে শনিবার জানিয়ে দেওয়া হয়, অগার মেশিনের সাহায্যে আর ড্রিল করা হবে না।
আরও পড়ুন: বুলেট ট্রেন প্রকল্পের কাজ চলছে দ্রুত গতিতে, তৈরি হয়েছে ১০০টি এলিভেটেড করিডোর
রিপোর্ট অনুযায়ী, সিল্কিয়ারা এবং দন্ডলগাওঁয়ের মাঝে তৈরি হচ্ছিল এই টানেলটি। গত ১২ নভেম্বর খুব ভোরে সেই টানেলে ধস নামে। এই গোটা টানেলটি সাড়ে চার কিলোমিটার লম্বা বলে জানা গিয়েছে। তারই মধ্যে ১৫০ মিটার লম্বা এলাকা জুড়ে ধসটা নামে ভোর ৪টে নাগাদ। জানা গিয়েছে, টানেলের সামনের দিক থেকে ভিতরের দিকে প্রায় ১৫০ মিটার জমি ধসে পড়ে ওপর থেকে। অর্থাৎ, টানেলের ছাদ ধসে পড়ে। তাতেই আটকা পড়ে যান শ্রমিকরা। প্রসঙ্গত, ব্রহ্মকাল-যমুনোত্রী জাতীয় সড়কটি চারধাম রোড প্রোজেক্টের অংশ। এই সড়ক সারা বছর সব ধরনের প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেই চালু থাকার কথা। এই সড়কটি তৈরি হলে উত্তরকাশী এবং যমুনোত্রীর মধ্যে যারাপথ ২৬ কিলোমিটার কমে আসবে।