মুম্বইয়ে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকের ঠিক আগে নয়াদিল্লির দশ জনপথে রাহুল গান্ধী ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। তার পর মুম্বইয়ে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে রাজ্যস্তরে আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা শুরু করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু এই বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোটের ইস্তেহার চূড়ান্ত করার উপর জোর দেন। তবে জোটের বাকি প্রতিনিধিরা এই বিষয়ে সম্মত হলে ধীরে চলার নীতি নিয়ে এগোতে চান। এমনকী রাজ্যস্তরে আসন সমঝোতা নিয়েও একই মতামত তাঁদের।
এই কথা জানার পরই দেখা যায়, জোটের যৌথ সাংবাদিক বৈঠক অনুপস্থিত থাকেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতে নানা গুঞ্জন তৈরি হয়। তৃণমূল অবশ্য বলছে, এটা তৈরিই ছিল। অর্থাৎ তাঁরা যে থাকবেন না এটা আগে থেকেই তৈরি ছিল। সুতরাং গুঞ্জনের কোনও জায়গা নেই। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর রাহুল গান্ধী ইউরোপ সফরে যাচ্ছেন। সেখানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁর বৈঠক রয়েছে। আবার প্যারিস, আমস্টারডাম, অ্যাসলো’য় প্রবাসী ভারতীয়, ভারতীয় পড়ুয়াদের সম্মেলনে যোগ দেবেন কংগ্রেস সাংসদ। রাহুল দেশে ফেরার পর এই ইস্তেহার নিয়ে কথা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
এদিকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে বলেছেন, মানুষের কাছে লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বার্তা পৌঁছে দিতে দ্রুত ইস্তেহার তৈরি করা উচিত। এই নিয়ে বাকিরা ধীরে চলার নীতি নেওয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রস্তাব দেন, মিনি অ্যাজেন্ডা তৈরি করতে হবে। যাতে নির্বাচনী প্রচার সামনে নিয়ে আসা যায় ২ অক্টোবর, মহাত্মা গান্ধীর জন্মবার্ষিকীতে। আসন সমঝোতা নিয়েও দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়। তবে আগামী দু’মাসের মধ্যে রোড ম্যাপ তৈরি হবে বলে বাকিরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন, ‘শীর্ষ নেতারা খুব সুন্দরভাবে সমন্বয় করেছেন। এবার বাকিদের কাজ গোটা বিষয়টি মসৃণভাবে নিয়ে যাওয়া।’
আরও পড়ুন: এবার ক্যাম্পাসে আসছে ইউজিসি’র বিশেষ টিম, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্ট কেমন?
অন্যদিকে এই বিরোধীদের জোট পাঁচটি প্যানেল তৈরি করেছে। তার মধ্যে রয়েছে প্রচার কমিটি এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় কাজ করার বিষয়টি। পরের সপ্তাহ থেকে তাঁরা কাজ শুরু করে দেবেন বলেও খবর। অন্যান্য রাজ্যে আসন সমঝোতা কেমন হবে? তা নিয়েও কথাবার্তা শুরু হবে। তবে নানা রাজ্যে জটিলতা থাকলেও অবশেষে একসঙ্গে কাজ করা যাবে বলে মনে করছেন জোটের নেতারা। সেখানে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দলকে যেমন এগিয়ে আসতে হবে, তেমন কংগ্রেসকেও এগিয়ে আসতে হবে। বাংলার ক্ষেত্রে সমীকরণ কেমন হবে? সেটাও আলোচনায় উঠে আসবে।