জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে 'লালঝড়'। ছাত্র সংসদের শীর্ষ চারটি পদের সবকটিতেই জয়ী হল বামেরা। এই ফলাফলের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জয়ী ছাত্রদের কুর্নিশ জানান সিপিএম-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তিনি লেখেন, 'জেএনইউ-তে ছাত্রদের আন্দোলনের বাম গণতান্ত্রিক চরিত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য সেখানকার ছাত্রদের স্যালুট জানাই। এটাই ইন্ডিয়ার ভবিষ্যৎ।' এর সঙ্গে জেএনইউ ছাত্র সংসদের ভোটের ফলাফল পোস্ট করেন সীতারাম ইয়েচুরি। দেখা গিয়েছে, সভাপতি, সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদের সবকটিতেই বামেরা জয়ী হয়েছে। এর মধ্যে ছাত্র সংসদে সহসভাপতি পদে জয়ী এসএফআই নেতা অভিজিৎ ঘোষ হলেন বাংলার ছেলে। (আরও পড়ুন: দার্জিলিঙে রাজুকেই প্রার্থী করল BJP, আনন্দে নাচ পাহাড়ের বিধায়কের, ভাইরাল ভিডিয়ো)
আরও পড়ুন: 'মেদিনীপুরেই দাঁড়াতে চেয়েছিলাম, তবে...', 'অভিমান ভুলে' ছক্কা হাঁকালেন দিলীপ
জেএনইউ ছাত্র সংসদের সভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন বাম যুক্ত ফ্রন্টের আইসা প্রার্থী ধনঞ্জয়। তিনি পেয়েছিলেন ২৫৯৮ ভোট। আর তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের উমেশ চন্দ্র আজমিরা। তিনি পান ১৬৭৬ ভোট। বাম প্রার্থী ধনঞ্জয় জয়ী হয়েছেন ৯২২ ভোটে। এদিকে ছাত্র সংসদের সহসভাপতি পদে বাম যুক্ত ফ্রন্টের এসএফআই প্রার্থী অভিজিৎ ঘোষ পান ২৪০৯ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন এভিবিপির দীপিকা শর্মা। তাঁর ঝুলিতে গিয়েছিল ১৪৮২ ভোট। এই পদে অভিজিৎ জয়ী হন ৯২৭ ভোটে।
আরও পড়ুন: 'প্রেশার গেমে' রাজু ভাঙলেন 'ট্রেন্ড', BJP বিধায়কের বিদ্রোহে গরমিল হতে পারে অঙ্ক?
এদিকে ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক পদে বাম যুক্ত ফ্রন্টের বাপসা প্রার্থী প্রিয়াংশী আর্য জয়ী হন ৯২৬ ভোটে। তিনি পেয়েছেন ২৮৮৭ ভোট। আর এবিভিপির অর্জুন আনন্দ পেয়েছিলেন ১৯৬১টি ভোট। আর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে বাম যুক্ত ফ্রন্টের এআইএসএফ প্রার্থী মহম্মদ সাজিদ পান ২৫৪৭ ভোট। এই পদের নির্বাচনে এবিভিপি প্রার্থী গোবিন্দ দাঙ্গি পান ২০৬৬টি ভোট। এই পদটিও ৫০৮ ভোটের ব্যবধানে দখল করে বামেরা।
এদিকে ছাত্র সংসদের সহসভাপতি পদে নির্বাচিত হওয়া অভিজিৎ শিলিগুড়ির ছেলে। নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন মহাবিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেছিলেন তিনি। এরপর ২০২০ সালে স্নাতকোত্তর স্তরের পড়াশোনর জন্যে জেএনইউতে ভরতি হয়েছিলেন অভিজিৎ। বর্তমানে সেখানে পিএইচডি করছেন তিনি। ২০২০ সালে জেএনইউ-তে ভরতির পরই এসএফআই-এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন অভিজিৎ। তাঁর বাবা ছোট একটি ব্যবসা করেন। আর তাঁর দাদা যুক্ত রয়েছেন ইমারতি ব্যবসার সঙ্গে। তাঁর এক ছোট ভাই আছে। সে পড়াশোনা করছে।