কোভিড নিয়ে তথ্য দিন। আরও একবার চিনের কাছে দাবি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। কোভিডের উত্স রহস্যের কিনারা করতে বেজিংয়ের সহায়তা চাইল WHO। বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেডরোস আধানম ঘেবরেসাস নিজে এই বিষয়ে মুখ খোলেন।
তিনি বলেন, 'আমরা চিনের কাছে তথ্য প্রদানের দাবি জানাতে থাকব।' কোভিডের উত্স খুঁজে বের করার প্রচেষ্টা জারি থাকবে বলে জানান তিনি।
এখনও কোভিডের সুনির্দিষ্ট উত্স কী, তাই নিয়ে কিন্তু নিশ্চিত নয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। WHO কর্তা ফের জানিয়েছেন যে, সবকটি তত্ত্বই এখনও সমানভাবে তাত্পর্যপূর্ণ। আরও পড়ুন: Zika Virus: ধরা পড়ল কর্ণাটকের প্রথম জিকা ভাইরাস কেস! আক্রান্ত ৫ বছরের শিশু
চিনের উহানের থেকে বিশ্বে কোভিড ছড়িয়ে পড়ে। তার প্রায় ৩ বছর হতে চলল। কিন্তু তার সঠিক উত্স যে কী, তা জানা যায়নি। যদিও যেটুকু তদন্ত, পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে, তার থেকে দুইটি সম্ভাবনার কথা বলছেন সিংহভাগ গবেষকরা। প্রথমত, এটি একটি প্রাকৃতিক, স্বাভাবিক Zoonotic সংক্রমণের নমুনা। অর্থাত্ অন্য পশুর থেকে মানুষ সংক্রামিত হয়েছে। দ্বিতীয়ত(এবং বিতর্কিত) তত্ত্বটি হল, উহানের পরীক্ষাগারে ভাইরাস নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলাকালীনই তা কোনওভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, হু-এর কর্তারা এখনও কয়েক মাস অন্তর কোভিড নিয়ে আলোচনায় বসেন। তাতে সমস্ত পরিসংখ্যান, পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করেন।
হু প্রধানের কথায়, 'আশা করি আগামী বছর এই সময়ে আমরা জোর গলায় বলতে পারব যে, কোভিড-১৯ নিয়ে আর আন্তর্জাতিক সঙ্কটের পরিস্থিতি নেই।'
অবস্থা যে কতটা দ্রুত পাল্টেছে, সেই কথাও মনে করিয়ে দেন হু প্রধান। তিনি বলেন, 'গত বছরই এই সময়ে ওমিক্রনের খোঁজ মিলেছিল। সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করেছিল। সেই সময়ে কোভিডে প্রতি সপ্তাহে ৫০ হাজার মানুষ প্রাণ হারাচ্ছিলেন। গত সপ্তাহে বিশ্বজুড়ে ১০ হাজারেরও কম মানুষ কোভিডে গত হয়েছেন। সেটাও যথেষ্ট বেশিই। এখনও বিভিন্ন দেশগুলির কোভিড নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট উদ্যোগী হওয়া বাকি। তবে আমরা অনেকটাই পথ পেরিয়ে এসেছি।'
কিন্তু কোভিড শঙ্কার পরিস্থিতি যে শেষ, তা কি আদৌ কখনও ঘোষণা করা হবে? হু কর্তা জানান, ঠিক কোন পরিসংখ্যান ও শর্তাবলীর উপর ভিত্তি করে সেই ঘোষণা হতে পারে, তাই নিয়ে ভাবা হচ্ছে। আগামী বছর জানুয়ারিতেই এই নিয়ে এমারজেন্সি কমিটি বৈঠকে বসবে বলে জানান তিনি। আরও পড়ুন: Covid কি এবার শেষ বলা চলে? উত্তরে যা বললেন WHO প্রধান…
সব শেষে টেডরোস আধানম ঘেবরেসাস স্পষ্ট করেন, 'ভাইরাস কিন্তু চলে যাবে না। তবে সব দেশই সেটি অন্য শ্বাসজনিত অসুখ, যেমন ইনফ্লুয়েন্জা, RSV-র মতো করে নিয়ন্ত্রণ করতে শিখে যাবে।' ইনফ্লুয়েন্জা এবং RSV বর্তমানে বিভিন্ন দেশে দ্রুত হারে ছড়াচ্ছে, জানান তিনি।