ভগবান পরশুরাম তপস্থলের শিলান্যাস করতে গিয়েছিলেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নি। সেখানই তিনি নিজের ইচ্ছার কথা প্রকাশ করলেন।। রবিবার তিনি সংস্কৃত শেখার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি তিনি মহাভারত নিয়ে ডক্টরেট করারও ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এদিন প্রকাশ সিং বাদলকে তিনি মহাভারতের ধৃতরাষ্ট্রের সঙ্গে তুলনা করেন। তিনি বলেন, পুত্র মোহ তাঁর দলকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছে। এভাবে কার্যত আকালি দলকে কটাক্ষ করেন তিনি। পাশাপাশি হিন্দু ধর্মের নানা বিষয়কে তুলে ধরবে এই গবেষণাকেন্দ্র। এমনটাও আশা প্রকাশ করেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন বছরের পর বছর ধরে এই বার্তা গোটা মানব সমাজের কাছে অনুপ্রেরণার। এই গবেষণাকেন্দ্রটি অনুঘটকের কাজ করবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
ব্রাহ্মণ সমাজের সঙ্গে তাঁর নিবিড় বন্ধনের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। এবার পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সংস্কৃত ভাষাটা শিখব। আর মহাভারতের উপর ডক্টরেট করব। তিনি বলন, একজন বিদ্বান মানুষ বলেছিলেন জীবনকে অর্থপূর্ণ ও যথার্থ করার জন্য আমাদের গীতার একটি করে শ্লোক রোজ শেখা উচিত। গীতার উপদেশের কোনও তুলনা হয় না। তিন মাসের মধ্যে আমার বর্তমান পিএইচডি শেষ হয়ে যাবে। এরপর আমি সংস্কৃত শেখা শুরু করব। মহাভারত নিয়ে পিএইচডি করব। পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়ানো গবাদি পশুগুলির যত্নের উপরেও জোর দেন তিনি। এজন্য ফান্ড সরবরাহের কথাও জানিয়েছেন তিনি। এই সামাজিক সমস্যা দূর করার আশ্বাস তিনি দেন। তবে এখানেই প্রশ্ন উঠছে তবে কি এভাবেই হিন্দুদের মন জয়ের জন্য চেষ্টা করছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী?