সম্প্রতি দিল্লি থেকে উড়ে যাওয়া মুম্বইগামী ইন্ডিগো উড়ানে এক বিমানযাত্রীর স্যান্ডউইচে পোকা পাওয়া যায়। সেই ঘটনাকে ঘিরে ব্যপক শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল সেই পোকা থাকা স্যান্ডউইচের ভিডিয়ো। এই আবহে সম্প্রতি স্যান্ডউইচ খাওয়া যাত্রীর কাছে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছে ইন্ডিদো। তবে সেই ঘটনায় এবার বিপাকে পড়েছে উড়ান সংস্থাটি। কারণ এই ঘটনার প্রেক্ষিতে এবার ফুড সেফটি অ্যান্ট স্ট্যান্ডার্ডস অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া বা এফএসএসএআই নোটিশ ধরিয়েছে ইন্ডিগোকে। উল্লেখ্য, এই ঘটনাটি ঘটেছিল গতবছর ২৯ ডিসেম্বর। আর নতুন বছরে এই ইস্যুতে নোটিশ হাতে পেল ইন্ডিগো। এফএসএসএআই-এর তরফ থেকে নোটিশ পাঠিয়ে ইন্ডিগোর কাছ থেকে জানতে চাওয়া হল, কেন তাদের খাবার পরিবেশনের লাইসেন্স বাতিল করা হবে না। ইন্ডিগোর জবাবে সন্তুষ্ট না হলে উড়ান সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে এফএসএসএআই। (আরও পড়ুন: 'রাশিয়া যদি বেশি...', অশোধিত তেল আমদানি নিয়ে জল্পনার মাঝে কোন ইঙ্গিত কেন্দ্রের?)
আরও পড়ুন: DRS নিয়েও 'আউট' ইমরান খান, আদালতের নির্দেশে মাঠে নামার আগেই 'ব্যাট' হারাল PTI
নোটিশে এফএসএসএআই-এর তরফে বলা হয়েছে, 'ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস আইন, ২০০৬-এর অনুযায়ী, যে খাবার খেয়ে মানুষ অসুস্থ হয়ে যেতে পারে, সেটিকে 'অনিরাপদ খাদ্য' হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এই ক্ষেত্রে খাদ্য পণ্যটির মধ্যে পোকা মিলেছে। যা থেকে এটিকে মানব সেবনের ক্ষেত্রে 'অনিরাপদ' বলে ধরা হচ্ছে।' এফএসএসএআই-এর তরফ থেকে নোটিশ পাঠিয়ে ইন্ডিগোর কাছ থেকে জানা হল, কেন তাদের খাবার পরিবেশনের লাইসেন্স বাতিল করা হবে না। এদিকে সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, প্রোটোকল মেনেই এই শোকজ নোটিশের জবাব দেবে ইন্ডিগো। এর আগে শনিবার এই ঘটনায় সেই স্যান্ডউইচ কেনা মহিলা যাত্রীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেয় ইন্ডিগো।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী ট্রাস্টগুলির অনুদানের ৭০% গিয়েছে BJP-র ঝুলিতে, টাকার অঙ্কে ঘুরবে মাথা!
উল্লেখ্য, দিল্লি নিবাসী ডায়েটেশিয়ান খুসবু গুপ্তা এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে দাবি করেছিলেন, ২৯ ডিসেম্বরে ৬ই ৬১০৭ নং উড়ানে একটি স্যান্ডউইচ কিনেছিলেন তিনি। তাতে পোকা ছিল বলে অভিযোগ করেন তিনি। সেই পোকা স্যান্ডউইচের ভিডিয়ো করে তিনি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন। সেখানে তিনি ইন্ডিগোকে প্রশ্ন করে লেখেন, 'কী ধরনের খাপার পরিবেশন করছেন আপনারা। আমাকে স্যান্ডউইচটা দেওয়া হলে আমি বিমানসেবিকাকে জানাই যে তাতে পোকা আছে। হয়ত বিমানের অন্যান্য স্যান্ডউইচেও পোকা থাকতে পারে। এটা কি আগে থেকে যাত্রীদের জানানো উচিত ছিল না? আমি বিমানের সামনে দিকে বসেছিলাম। আমার পরেও অনেককে এই স্যান্ডউইচ দেওয়া হয়েছে। যদি এই স্যান্ডউইচ খেয়ে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ে, তাহলে এর দায় কে নেবে? ওই বিমানযাত্রীদের মধ্যে বাচ্চা, বয়স্ক মানুষরাও ছিলেন। তাঁদের সংক্রমণ হলে কী হবে!'
পরে খুসবু পোস্টে আরও যোগ করেন, 'সচেতন করার জন্য় আমি এটা করলাম। এর সঙ্গে কোনও ক্ষতিপূরণ বা রিফান্ডের কোনও ব্যাপার নেই।' পরে ইন্ডিগো তাদের বিবৃতিতে জানায়, খাবার ও পানীয়র ক্ষেত্রে যাতে সর্বোচ্চ মান রক্ষা করা হয় সেটা আমরা বরাবর চেষ্টা করি। তদন্তে দেখা গিয়েছে, যে স্যান্ডউইচটা পরিবেশন করা হচ্ছিল, সেটার পরিবেশন আমরা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। সেই সঙ্গেই ইন্ডিগোর তরফ থেকে বলা হয়, এই গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সঠিক পদক্ষেপেরও আশ্বাস দেওয়া হয়। তবে এরই মাঝে এফএসএসএআই-এর তরফ থেকে নোটিশ পাঠিয়ে ইন্ডিগোর কাছ থেকে জানা হল, কেন তাদের খাবার পরিবেশনের লাইসেন্স বাতিল করা হবে না।