সীমা হায়দার। চার বাচ্চাকে সঙ্গে নিয়ে প্রেমের টানে তিনি চলে এসেছেন ভারতে। নয়ডার সচিন মীনাকে বিয়েও করেছেন সীমা। তাঁদের প্রেম কাহিনি একেবারে লোকের মুখে মুখে ফিরছে। এমনকী তাঁদের প্রেমের কাহিনি নিয়ে সিনেমাও তৈরি হচ্ছে বলে খবর। তবে এবার সেই সিনেমার নাম নিয়ে নয়া বিতর্ক দানা বেঁধেছে। অমিত জানি নামে এক সিনেমা প্রডিউসার করাচি টু নয়ডা নামের ওই সিনেমা তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছেন। কিন্তু এবার মুম্বই হাইকোর্টে তিনি রিট পিটিশন দাখিল করলেন।
তিনি জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্র নব নির্মাণ সেনা বা এমএনএস তাদেরকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। সিনেমা কর্তৃপক্ষের দাবি, এমএনএস হয়তো ভাবছে আমরা হিন্দু বিরোধী ফিল্ম তৈরি করছি। কিন্তু আমরা তেমন কিছু করছি না। এর মধ্যে আবার মারাঠি আর নন মারাঠি সেন্টিমেন্ট কাজ করছে বলে তাঁর দাবি।
সামগ্রিক পরিস্থিতিতে সেই ফিল্ম নিয়ে এবার নয়া বিতর্ক। ফিল্ম নির্মাতাদের দাবি, এই সিনেমায় কোনওভাবেই হিন্দু বিরোধী কোনও বক্তব্য পেশ করা হচ্ছে না।
জানি ফায়ার ফক্স প্রোডাকশন হাউসের উদ্যোগে এই সিনেমা তৈরি হচ্ছে। তিনি ফিল্মের টাইটেলের কথাও উল্লেখ করেছেন। লাইভ হিন্দুস্তানের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, অমিত জানি এই সিনেমার অন্যতম প্রযোজক জানিয়েছেন, সীমা হায়দারের বাস্তব জীবনের উপর ভিত্তি করে এই সিনেমা তৈরি হয়েছে। এই সিনেমায় মূলত সীমার পাকিস্তান থেকে আসা, সচিনকে বিয়ে করার মতো ঘটনা দেখানো হবে। এমনকী সেই ফিল্মের সুটিংও শুরু হয়ে গিয়েছে। জোর কদমে চলছে সেই সুটিং। এমনকী ফিল্মের গান, ফিল্মের পোস্টারও প্রকাশ করা হয়েছে।
এদিকে এর আগে তিনি সীমা হায়দারকে সিনেমায় নামার অফার দিয়েছিলেন। সেই সিনেমার নাম ছিল এ টেলর মার্ডার স্টোরি। সেই সিনেমায় সীমাকে র এজেন্টের রোল দেওয়া হবে বলে বলা হয়েছিল। কিন্তু সীমা সরাসরি সিনেমায় নামতে চাননি। কারণ তিনি জানিয়েছিলেন, ইউপি এটিএস এনিয়ে অনুমতি না দিলে তিনি সিনেমায় নামতে চান না।
সীমা আর সচিনের প্রেম কাহিনি আজ গোটা দেশের কাছে অত্যন্ত পরিচিত। পাবজি খেলতে গিয়ে ভারতের সচিন মীনার সঙ্গে আলাপ হয়েছিল সীমার। এরপর প্রেমের টানে সীমান্তের বাধাকে উপেক্ষা করে সোজা পাকিস্তান থেকে ভারতে চলে আসেন তিনি। পরে বিয়েও করেন সচিনকে। আর সেই সীমার প্রেম কাহিনি নিয়েই সিনেমা বানাতে গিয়ে তৈরি হল নয়া জটিলতা।