উত্তরপ্রদেশের মুখ্য়মন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সোমবার ছিলেন রামমন্দিরে। তিনি জানান, ৫০০ বছর ধরে মানুষ যে স্বপ্ন দেখছিলেন সেই স্বপ্ন পূরণ হল এতদিনে। রামমন্দিরে প্রাণপ্রতিষ্ঠার পরে রামভূমিতে দাঁড়িয়ে যোগী আদিত্যনাথ বলেন, একেবারে সঠিক জায়গায় ভগবানকে প্রতিষ্ঠার জন্য় এই প্রথম কোনও সম্প্রদায়কে এভাবে এতটা লড়াই করতে হল। ১৯৯০ সালে করসেবকদের উপর গুলি চালনার কথা তুলে ধরেন তিনি। তিনি জানান, অযোধ্য়ায় আর কোনও কার্ফু হয় না বা গুলি চালনার ঘটনা হয়না।
তিনি জানিয়েছেন গোটা দেশই আজ অযোধ্য়া ধাম। তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হলেন বিশ্বের সবথেকে জনপ্রিয়তম নেতা।
১৯৯০ সালে দুটি আলাদা গুলি চালানোর ঘটনায় ১৭জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেই ঘটনার কথা মনে করিয়ে দেন তিনি। তিনি বলেন, বহু মানুষ আত্মত্যাগ করেছিলেন ওই ঘটনায়।
যোগী আদিত্যনাথ জানিয়েছেন, যেখানে তাঁরা চেয়েছিলেন সেখানেই মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়েছে। তিনি বলেন, আমার মনের মধ্য়ে এমন ধরনের আবেগ উঠে আসছে কিন্তু আমি সেটা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। সকলেই আবেগ বিহ্বল ও খুশি। এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে প্রতিটি শহর ও গ্রাম অযোধ্য়া ধামে পরিণত হয়েছে। সমস্ত রাস্তাই রামজন্মভূমিতে গিয়ে মিশেছে।
এদিন একেবারে রাজকীয় সমারোহ রামমন্দিরে। বহু বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন এই অনুষ্ঠানে। রামলালার পায়ে পদ্ম রাখলেন মোদী। মহাসমারোহে ধুমধাম সহকারে রামলালা বিরাজ করলেন তাঁর বেদীতে। ২২ জানুয়ারি রাজকীয় রামমন্দির নির্মাণের দিনে বিশ্বদরবারের সামনে খুলে গেল রামললার রূপ। রাজকীয় সাজে রামলালাকে সেখানে সাজানো হয়। আর সেই রূপের বিগ্রহে পুজো দিয়ে প্রাণপ্রতিষ্ঠা উৎসবে শামিল হন দেশের প্রধানমন্ত্রী।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে রামচন্দ্রের মাহাত্ম্যের কথা তুলে ধরেন তিনি। বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, 'রাম ভারতের আস্থা। রাম ভারতের আধার। রাম ভারতের বিচার। রাম ভারতের বিধান। রাম ভারতের চেতনা। রাম ভারতের চিন্তন। রাম ভারতের প্রতিষ্ঠা। রাম ভারতের প্রতাপ। রাম প্রবাহ । রাম নিত্য়তা। রাম নিরন্তরতা। রাম ব্যপক।রাম বিশ্বাস। রাম বিশ্ব আত্মা। এই কারণে রামের প্রতিষ্ঠা যখন হয় তখন শুধু বছর বা শতাব্দী ধরে নয়, তাঁর প্রভাব হাজার বছর ধরে হয়।