বকেয়া ডিএ-র দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মীরা বিগত ১৬দিন ধরে আন্দোলন করছেন। এরই মাঝে গতকাল আন্দোলনের ১৫তম দিনে তিনজন সরকারি কর্মী আমরণ অনশনে বসলেন। এই আবহে এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে মন্ত্রীর বার্তা, আদালতের উপর ভরসা না থাকলে দেশে থাকারও অধিকার নেই।
1/5 উল্লেখ্য, বকেয়া ডিএ মেটানোর দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরেই আন্দোলনে বসেছেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের যৌথ সংগ্রাম মঞ্চের সদস্যরা। শহিদ মিনার ময়দানে প্রতীকী অনশন ও লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। এরই মধ্যে তিন আন্দোলনকারী আমরণ অনশন শুরু করেছেন। তাঁদের দাবি, ভবিষ্যতে আরও সরাকরি কর্মী অনশনে যোগ দেবেন তাঁদের সঙ্গে।
2/5 এর আগে অবস্থান বিক্ষোভের জন্য জায়গা পাওয়া নিয়ে সরকারি বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল সরকারি কর্মীদের। এই অবস্থায় আদালতের দ্বারস্থ হন আন্দোলনকারীরা। পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশ মেনেই চলে আন্দোলন। এরপর থেকে আন্দোলন জারি থাকলেও দাবি মেটানো হয়নি। এরই মাঝে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, উপরাষ্ট্রপতি জাগদীপ ধনকড়, রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকেও চিঠি পাঠিয়েছে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ।
3/5 এই আবহে মন্ত্রী ফিরহাদ বললেন, 'আদালতে যাব, আবার অনশনও করব। তা আবার হয় নাকি? আদালতে মামলা চলছে। তার মানে এই আন্দোলনকারীদের আদালতের উপর কোনও ভরসা নেই। যাঁদের আদালতের উপর ভরসা নেই, তাদের ভারতে থাকারও অধিকার নেই।' এর আগেও ফিরহাদ অভিযোগ করেছিলেন, যাঁরা আন্দোলনে নেমেছেন তাঁরা আদতে সিপিএমের লোক।
4/5 এদিকে অনশনে বসা এক সরকারি কর্মচারী সংবাদ চ্যানেলকে বলেন, 'সরকার আমাদের এই পদক্ষেপ করতে বাধ্য করেছে। যে দুই ন্যায্য মৌলিক অধিকারের দাবিতে আমরা আন্দোলন শুরু করি, সরকার তা মেনে নেয়নি। সরকার আমাদের দাবিতে কর্ণপাত করেনি বিগত ১৫ দিন ধরে। তাই আমরা বাধ্য হয়েছি। সরকার যাতে আমাদের দাবি মানে, এর জন্য আমাদের যতটা যেতে হবে আমরা যাব।'
5/5 ত্রিপুরার সরকারি কর্মচারীদের লেখা চিঠি প্রসঙ্গে আন্দোলকারী বলেন, 'আমরা তাঁদের প্রতি আবেদন করেছিলাম, যে ভুল পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারীর করেছিলেন, সেটা যেন তারা আবার না করেন। আমরা বিগত ১২ বছর ধরে ভুগছি।' অনশনরত ডিএ আন্দোলনকারী দাবি করেন, তাঁদের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ত্রিপুরার সরকারি কর্মচারীরা পালটা পত্র পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন। এমনকি তাঁদেরে আন্দোলনস্থলেও আসতে চলেছেন ত্রিপুরার সরকারি কর্মচারীরা।