বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > 6th Pay Commission DA Protest: সরকারি অফিসগুলিতে কঠোর নির্দেশিকা জারি সরকারের, কী বলছেন ডিএ আন্দোলনকারীরা?
6th Pay Commission DA Protest: সরকারি অফিসগুলিতে কঠোর নির্দেশিকা জারি সরকারের, কী বলছেন ডিএ আন্দোলনকারীরা? Updated: 22 May 2023, 03:59 PM IST Abhijit Chowdhury ডিএ আন্দোলন দমানোর জন্য এবার জোড়া নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার। আর সেই নির্দেশিকার প্রতিবাদে সরব হলেন সরকারি কর্মীরা। গতকাল শহিদ মিনারে ডিএ আন্দোলনের মঞ্চে এই নিয়ে একটি সংবাদ সম্মেলনে করেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নেতারা। সেখানেই তাঁরা সরকারকে পালটা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন। 1/5 গত সপ্তাহে সরকারের তরফে দু'টি নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়, মধ্যাহ্নভোজের সময় খাওয়া দাওয়া ছাড়া আর অন্য কোনও কাজ করা যাবে না এবং আন্দোলনের জন্য ছুটি নেওয়া যাবে না। এদিকে সরকারি নির্দেশিকায় ২২ মে-এর উল্লেখ করা হয় নির্দিষ্ট ভাবে। তবে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের তরফে আজ, ২২ তারিখ কোনও কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়নি। 2/5 এদিকে সরকারের এই কঠোর নির্দেশিকার বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন মঞ্চের সরকারি কর্মীরা। বর্তমানে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ছাতার তলায় ৬২টি সংগঠন রয়েছে। এই আবহে সরকারি নির্দেশিকার বিরুদ্ধে লাগাতার কর্মবিরতির ডাকা হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিলেন মঞ্চের নেতারা। পাশাপাশি মঞ্চের বাইরের অন্য কোনও সংগঠন যদি ন্যায্য দাবিতে কর্মবিরতি ডাকে, সেটিকে সমর্থন জানানোরও কথা বলা হয় মঞ্চের তরফে। 3/5 প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই ডিএ আন্দোলন সেঞ্চুরি পার করেছে। তবে এখনও সেই আন্দোলন জারি রয়েছে। আগামীতেও তা জারি থাকবে বলেই আভাস মিলেছে সরকারি কর্মীদের তরফ থেকে। এরই মাঝে এবার ডিএ আন্দোলনকারীদের ছুটি নিয়ে আন্দোলনে বসা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন মন্ত্রী অখিল গিরি। পরে নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলাতেও প্রায় একই সুর শোনা গিয়েছিল। নরমে-গরমে আন্দোলনরত সরকারি কর্মীদের দমাতে চাইছে শাসকদল। এই আবহে এই জোড়া নির্দেশিকা। 4/5 এই আবহে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের বক্তব্য, জমে থাকা ছুটি খরচ করেই আন্দোলন করছেন সরকারি কর্মী এবং শিক্ষকরা। ১০০-র বেশি দিন ধরে যে ধরনা চলছে, তার ছুটি কোথা থেকে আসছে? জবাবে সরকারি কর্মীদের দাবি, এত বছর ধরে কাজ করায় আমাদের অনেক ছুটিই জমা হয়েছে, সেগুলোই ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়াও স্কুলে এখন গরমের ছুটি। তাই শিক্ষকরা সেই ছুটিতেই আন্দোলন করছেন। 5/5 এদিকে সরকারি কর্মীদের হুঁশিয়ারি, আন্দোলনের জন্য সব ছুটি শেষ হলে প্রয়োজনে বেতন না নিয়েই আন্দোলন জারি থাকবে। প্রসঙ্গত, গত প্রায় এক বছর ধরে রাজ্য সরকারের সঙ্গে ডিএ ইস্যুতে সংঘাত চলছে সরকারি কর্মচারীদের। এই আবহে সরকারের নির্দেশ, বেলা ১টা ৩০ থেকে ২টোর মধ্যে মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে কোনও কর্মসূচি পালন করা চলবে না। কেউ নির্দেশ অমান্য করলে সেই কর্মীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি সেই কর্মীকে সেদিনের জন্য গরহাজির গণ্য করা হবে।