6th Pay Commission DA Strike: মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) প্রদান-সহ একগুচ্ছ দাবিতে প্রশাসনিক ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। মাধ্যমিক এবং মাদ্রাসা পরীক্ষার জন্য সেই ধর্মঘটের দিনক্ষণ পালটানো হল। তবে নিজেদের অবস্থান থেকে পিছু হটলেন না রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। বরং রাজ্য সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তাঁরা জানালেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের কোনও বিজ্ঞপ্তিতে ভয় পান না তাঁরা।
1/5 রয়েছে মাধ্যমিকের শারীরশিক্ষার পরীক্ষা। মাদ্রাসার পরীক্ষাও আছে। সেই পরিস্থিতিতে আগামী ৯ মার্চ যে প্রশাসনিক ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছিল, তা একদিন পিছিয়ে দিল রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের যৌথমঞ্চ। ওই মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ১০ মার্চ প্রশাসনিক ধর্মঘট হবে। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে ফেসবুক)
2/5 কোন কোন দাবিতে প্রশাসনিক ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা? তাঁরা জানিয়েছেন, মূলত তিনটি দাবি পূরণের জন্য প্রশাসনিক ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। প্রথমত, বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) মিটিয়ে দিতে হবে এবং কেন্দ্রীয় হারে ডিএ প্রদান করতে হবে। দ্বিতীয়ত, স্বচ্ছভাবে সমস্ত শূন্যপদে নিয়োগ করতে হবে রাজ্য সরকারকে। তৃতীয়ত, বিভাজনের পথ ছেড়ে সুষ্ঠুভাবে প্রশাসন চালনা করতে হবে। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে ফেসবুক)
3/5 সেই প্রশাসনিক ধর্মঘট নিয়ে আপাতত রাজ্য সরকারের তরফে কোনও মন্তব্য করা না হলেও দু'দিনের কর্মবিরতির মতো এবারও কঠোর নির্দেশিকা জারি করতে পারে নবান্ন। ডিএয়ের দাবিতে গত ২০ এবং ২১ ফেব্রুয়ারি রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা যে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিল, তার প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার নির্দেশ দিয়েছিল যে কয়েকটি ক্ষেত্র ছাড়া ওই দু'দিন অফিসে না এলে কর্মজীবনে ছেদ পড়বে। শো-কজ করা হবে। সেই নোটিশের উত্তর সন্তোষজনক না হলে করা ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল রাজ্য। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে ফেসবুক)
4/5 এবার প্রশাসনিক ধর্মঘটের ক্ষেত্রেও রাজ্য সেই কঠোর পথে হাঁটলেও নিজেদের কর্মসূচিতে অনড় থাকবেন বলে জানিয়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, যে সব দাবিতে ধর্মঘট ডাকা হয়েছে, তা নায্য। তাই রাজ্যের তরফে কী কঠোর বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে, তা নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তিত নন সরকারি কর্মচারীরা। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে ফেসবুক)
5/5 তবে সেই প্রশাসনিক ধর্মঘটের বিরোধিতা করেছেন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস প্রভাবিত সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের নেতা মনোজ চক্রবর্তী জানান, নীতিগতভাবে যে কোনও ধরনের ধর্মঘট, কর্মবিরতির বিরোধিতা করা হবে। আলোচনার মাধ্যমেই সরকারি কর্মচারীদের দাবিপূরণ করতে হবে। যাঁরা প্রশাসনিক ধর্মঘট ডেকেছেন, তাঁদের রাজ্যের সঙ্গে আলোচনায় বসা উচিত বলে দাবি করেছেন সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের নেতা। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে ফেসবুক)