বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > West Bengal Dearness Allowance: 'ডিএ আন্দোলন শেষ করতে অনৈতিক পদক্ষেপ', সুপ্রিম নির্দেশিকার পর উঠল গর্জন
West Bengal Dearness Allowance: 'ডিএ আন্দোলন শেষ করতে অনৈতিক পদক্ষেপ', সুপ্রিম নির্দেশিকার পর উঠল গর্জন Updated: 10 Oct 2023, 03:38 PM IST Abhijit Chowdhury ডিএ আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষকদের বদলি করা নিয়ে জোর বিতর্ক হয়েছে। আজ সরকারি কর্মীরা কর্মবিরতিতে গিয়েছেন এই আবহে। এরই মাঝে গতকাল শিক্ষ বদলি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। যা ডিএ আন্দোলনকারীদের জয় হিসেবেই দেখা হচ্ছে। 1/5 শিক্ষক বদলি নিয়ে বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিল, ২০১৭ সালের আগে যে সব শিক্ষকরা নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁদের এই মুহূর্তে দূরের জেলায় বদলি করা যাবে না। প্রয়োজনে কাছের জেলা বা স্কুলে বদলি করতে হবে শিক্ষকদের। এদিকে যেসব শিক্ষকদের ইতিমধ্যেই বদলি করা হয়েছে, তাঁদের বদলি বহাল থাকবে। সেই সব শিক্ষকদের অপেক্ষা করতে হবে মামলা শেষে চূড়ান্ত রায় পর্যন্ত। 2/5 উল্লেখ্য, শিক্ষক বদলির বিরোধিতায় শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্যের মাধ্যমিক শিক্ষক ও কর্মচারী সংগঠন। মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল, ১৯৯৭ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশন আইনে ২০১৭ সালে নতুন ১০সি ধারাটি যোগ করা হয়েছিল। এই আবহে তাঁদের যুক্তি ছিল, ২০১৭ সালের আগে যে সব শিক্ষকরা চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁদের ওপর সেই ধারা প্রয়োগ করে বদলি করা যায় না। যদিও রাজ্যের দাবি, পড়ুয়া ও শিক্ষকদের অনুপাত দেখেই বদলি করা হয়েছে। 3/5 শীর্ষ আদালত বলে, যদি ক্ষমতা থেকেই থাকত, তাহলে নতুন করে ধারা যোগ করতে হত না। এই আবহে আপাতত ২০১৭ সালের আগে নিযুক্ত কোনও শিক্ষককে দূরে বদলি করতে পারবে না বিকাশ ভবন। তবে এই সময়কালে ২০১৭ সালের পরে নিযুক্ত সব শিক্ষকদেরই প্রয়োজন মতো রাজ্যের যেকোনও জায়গায় বদলি করা যাবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। এদিকে এই মামলায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে নোটিশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এই মামলায় হলফনামা পেশ করতে বলা হয়েছে। 4/5 এর আগে অভিযোগ উঠেছিল, ডিএ আন্দোলনে যোগ দেওয়া শিক্ষকদের অনেক দূরে দূরে বদলি করা হচ্ছে। যার প্রতিবাদে সুর চড়িয়েছিলেন সরকারি কর্মীদের একাংশ। বদলির বিরুদ্ধে আজ এবং আগামিকাল কর্মবিরতিরও ডাক দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। এই আবহে শীর্ষ আদালতের এই নির্দেশ নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। 5/5 বদলি নিয়ে শীর্ষ আদালতের নির্দেশের পর শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যকে বিঁধে বলেন, 'যে সব শিক্ষকরা ডিএ-র দাবিতে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন, তাঁদেরকে ওই ধারা প্রয়োগ করে বদলি করা হচ্ছে। ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনকে শেষ করে দিতেই এই ধারা অনৈতিক ভাবে প্রয়োগ করছিল রাজ্য সরকার।'