কয়েকদিন আগেই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করা হয়েছিল। এর জেরে জানুয়ারি থেকে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ ৪২ শতাংশ হারে কার্যকর করা হয়। এরপর থেকেই বিভিন্ন রাজ্য ডিএ বাড়িয়েছে। পশ্চিমবঙ্গেও ডিএ বৃদ্ধির দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চলছে। তবে এরই মধ্যে এবার তৃণমূল কংগ্রেস চাপে পড়ল রাজনৈতিক ভাবে।
1/5 গত গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে একটাও আসন আসেনি। এহেন গোয়াতেই ডিএ বাড়ানোর ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। এর আগে বাংলার প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ড এবং অসমেও ডিএ বাড়ানো হয়েছিল। পপরপর রাজ্যগুলিতে ডিএ বৃদ্ধির জেরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বেশ চাপের মধ্যে পড়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। আবার এরই মধ্যে দিল্লিতেও এই রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা ধরনায় বসবেন সোমবার থেকে।
2/5 এদিকে সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে গোয়া সরকার জানিয়ে দিয়েছে যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা ৪ শতাংশ বাড়িয়ে ৪২ শতাংশ করা হয়েছে। পাশাপাশি অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীদের ডিআর বাড়িয়ে ৪২ শতাংশ করা হয়েছে। গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্তের নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই ডিএ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে জানুয়ারি মাস থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসের বকেয়া ডিএ এপ্রিলের বেতনের সঙ্গে ঢুকবে কর্মচারীদের অ্যাকাউন্টে।
3/5 এর আগে সম্প্রতি ঝাড়খণ্ডেও ডিএ ৪ শতাংশ বাড়িয়ে ৪২ শতাংশ করা হয়। তারও আগে গত ৩১ মার্চ অসম সরকারের তরফে জানানো হয়, ডিএ ৪ শতাংশ বাড়িয়ে ৪২ শতাংশ করা হল। এই ডিএ বৃদ্ধি ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে বলেও ঘোষণা করেন সেরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইস ইন্ডেক্সের সূচক অনুযায়ী এই ডিএ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
4/5 এদিকে প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতে ডিএ বৃদ্ধি হলেও পরিস্থিতি প্রায় একই রয়েছে বাংলায়। গোয়ার মতো ছোট রাজ্যেও বেড়েছে ডিএ। তবে এই রাজ্যে ডিএ-র জন্য সরকারি কর্মীদের চাতক পাখির মতো তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে সুপ্রিম কোর্টের দিকে। এরই মাঝে বিগত জানুয়ারি মাসে শেষ সপ্তাহ থেকেই রাজ্যে শুরু হয়েছে ডিএ আন্দোলন। সেই আন্দোলনের ঝাঁঝ দিনকে দিন বেড়েছে। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পালটা আক্রমণ শানিয়েছেন সরকারি কর্মীদের। অবশ্য মার্চ মাস থেকে ডিএ বেড়েছে এ রাজ্যেও। তবে তা নামমাত্র।
5/5 প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারিতে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি বাজেটে ৩ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা কর হয়েছিল। বর্তমানে দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে সর্বনিম্ন হারে ডিএ প্রদান করা হয়। বাংলার আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীদের বক্তব্য, এই পে কমিশনের প্রথম থেকেই সরকার ৬ শতাংশ ডিএ বলে ঘোষণা করে আসছে, সেটা মিথ্যা। সরকার এইচআর-এর টাকা ১৫ শতাংশ থেকে ৩ শতাংশ কমিয়ে ১২ করেছে। সেটাই ডিএ বলে চালাচ্ছে সরকার। ওটা আসলে ডিএ নয়। সরকারি কর্মীদের অভিযোগ, তাঁরা কোনও ডিএ পাচ্ছিলেন না। এখন ৩ শতাংশ ঘোষণা করল। তাঁরা ৩৯ শতাংশ ডিএ চাইছেন।