কাকার হাত থেকে ‘পাওয়ার’ কাড়লেন ভাইপো। বিজেপির হাত ধরা অজিত পাওয়ারের গোষ্ঠী হল আসল ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি)। বলল নির্বাচন কমিশন। ধাক্কা খেলেন শরদ পাওয়ার। সেইসঙ্গে শরদদের একবারের জন্য বিশেষ সুযোগ দেওয়া হল।
1/5 ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) আসল 'মালিক' কে? দীর্ঘদিনের টানাপোড়েনের পরে মঙ্গলবার চূড়ান্ত রায় দিল নির্বাচন কমিশন। ভাইপোর অজিত পাওয়ারের গোষ্ঠীর পক্ষেই কমিশন রায় দিয়েছে। অর্থাৎ অজিতদের গোষ্ঠীকে এনসিপির প্রকৃত 'মালিক' বলা হল। এবার থেকে এনসিপির নাম ও প্রতীক ব্যবহার করতে পারবেন শরদের ভাইপো অজিতরা। যে দলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন শরদই। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে পিটিআই)
2/5 কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, এনসিপির সংবিধান এবং উদ্দেশ্য খতিয়ে দেখা হয়। সংগঠন এবং আইনসভায় এনসিপির কাদের হাতে বেশি সংখ্যা আছে, তা সেটাও পরীক্ষা করে দেখেছে কমিশন। দলের সংবিধান খতিয়ে দেখা হয়। সেইসবের ভিত্তিতেই অজিতের গোষ্ঠীকে এনসিপির প্রকৃত ‘মালিক’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে কমিশন। (ফাইল ছবি, রাজু শিন্ডে/হিন্দুস্তান টাইমস)
3/5 সেই পরিস্থিতিতে শরদের নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠীকে দলের নয়া নাম খুঁজতে হবে। বেছে নিতে হবে নয়া প্রতীক। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, নিজেদের রাজনৈতিক দলের নাম কী হবে, তা নির্ধারণের জন্য শরদদের ছাড় দেওয়া হয়েছে। একবারই সেই সুযোগ মিলবে। আসন্ন রাজ্যসভা নির্বাচনের জন্য বুধবার বিকেলের মধ্যে তাঁদের তিনটি দল নাম জমা দিতে হবে। (ছবি সৌজন্যে পিটিআই)
4/5 গত বছর জুলাইয়ে অধিকাংশ এনসিপি বিধায়কের সমর্থন নিয়ে কাকা শরদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন অজিত। যোগ দেন বিজেপি এবং শিবসেনার সরকারে। যে সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হলেন একনাথ শিন্ডে। সেই পরিস্থিতিতে তাঁর গোষ্ঠীকেই প্রকৃত এনসিপি হিসেবে দাবি করতে থাকেন অজিত। পালটা শরদরাও দাবি করেন যে তাঁদের গোষ্ঠীই হল এনসিপি। ছ'মাসের বেশি সময় ধরে ১০টির বেশি শুনানির পরে অজিতদের পক্ষেই রায় দিল কমিশন। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে পিটিআই)
5/5 উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালের জুনে এনসিপি তৈরি করা হয়েছিল। দল তৈরি করেছিলেন জাতীয় কংগ্রেসের তিনজন প্রাক্তন সদস্য - শরদ পাওয়ার, পি সাংমা এবং তারিক আনোয়ার। যে দলের নির্বাচনী প্রতীক হল অ্যানালগ ঘড়ি। এবার থেকে সেই প্রতীক ব্যবহার করতে পারবেন অজিতের গোষ্ঠী। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে পিটিআই)