ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো রুটে ধসের এলাকায় ফের কাজ শুরু করল মেট্রো কর্তৃপক্ষ। বারবার বিপর্যয়ের জেরে থমকে ছিল বউবাজারে মেট্রোর কাজ। অবশেষে সেই কাজ শুরু হয়েছে। দুর্গা পিতুরি লেন, গৌড় দে লেন এবং স্যাঁকরা পাড়া লেনের নীচের অংশে কংক্রিট বেস স্ল্যাব তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। এই স্ল্যাব বা দেওয়ালের ফলে ভূগর্ভস্থ টানেলটি সুরক্ষিত থাকবে।
1/6এর আগে ২০১৯ সালে ৩১ অগস্ট এসপ্লানেডের দিক থেকে সুড়ঙ্গ নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ার পরে মাটি ফুঁড়ে বেরিয়ে এসেছিল জল। তবে সেই ঘটনার পর সাড়ে তিন বছর পরে দুর্গা পিতুরি লেন পার করতে পারে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর পশ্চিমমুখী সুড়ঙ্গের কাজ এর ফলে অনেকটাই এগিয়ে যাবে। মিটবে জটিলতা। এর আগে ২০১৯ সালে দুর্গা পিতুরি লেনের কাছে থেমে গিয়েছিল টানেল নির্মাণকারী টিবিএম ‘চণ্ডী’। তবে এবার পূর্বমুখী এই টানেল তৈরির কাজ মিটতে পারে শীঘ্রই।
2/6গত মে মাসে সুড়ঙ্গের ভিতের মেঝে তৈরি করতে গিয়ে যে ৯ মিটার অংশ থেকে জল বেরিয়ে এসেছিল। তবে সেই এলাকায় ভূগর্ভস্ত টানেলের মেঝে তৈরির কাজ শেষ করা হয়েছে এই মাসেই। এ বার উপর থেকে সুড়ঙ্গের ওই অংশের ঢালাইয়ের কাজ শেষ হলেই পশ্চিমমুখী সুড়ঙ্গের এসপ্লানেডের সঙ্গে জুড়ে যাবে শিয়ালদহ প্রান্ত।
3/6এদিকে মেট্রো সূত্রে খবর, ডিসেম্বরেই গঙ্গার নীচ দিয়ে এসপ্ল্যানেড থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত রুটে যাত্রী পরিষেবা চালু করে দিতে পারে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো কর্তৃপক্ষ। তবে শিয়ালদা ও এসপ্ল্যানেড মাঝে কবে মেট্রো পরিষেবা চালু করা সম্ভব হবে, সেই বিষয়ে স্পষ্ট কোনও জবাব এখনও মেট্রো আধিকারিকদের কাছে নেই।
4/6কয়েকদিন আগে কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশনের এমডি হরিনাথ জয়সওয়াল সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ডিসেম্বরেই গঙ্গার নীচ দিয়ে এসপ্ল্যানেড থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত রুটে যাত্রী পরিষেবা চালু করে দেওয়া হতে পারে। তবে এসপ্ল্যানেড ও শিয়ালদার মাঝের রুটের কাজ এই বছর খুব সম্ভবত সম্পন্ন হবে না। সূত্রের খবর, আগামী এপ্রিলে হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত অংশে মেট্রোর ট্রায়াল হতে পারে। সেইসময় গঙ্গার নীচ দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে মেট্রো ছুটবে।
5/6এদিকে গঙ্গার তলা দিয়ে যে টানেল হাওড়া ময়দান ও এসপ্ল্যানেডকে জুড়বে, ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর সেই অংশের কাজ শেষ। এই আবহে ‘আন্ডারওয়াটার টানেল' দিয়ে ছুটতে চলেছে মেট্রো। পরিবহণের জন্য ভারতের প্রথম ‘আন্ডারওয়াটার টানেল’ হতে চলেছে এটি। ভারতীয় রেলের তরফে জানানো হয়েছে, রেকর্ড ৬৬ দিনে গঙ্গার নীচে সেই টানেল তৈরি হয়েছে। এই টানেল নদীগর্ভের ১৩ মিটার নীচে অবস্থিত।
6/6গঙ্গার পশ্চিম তীরে অবস্থিত হাওড়া স্টেশন কমপ্লেক্সের সঙ্গে পূর্ব তীরে অবস্থিত আর্মেনিয়ান ঘাটকে যুক্ত করবে ভারতের প্রথম ‘আন্ডারওয়াটার টানেল’। কলকাতা মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, মেট্রো পরিষেবা চালু হয়ে গেলে বিশ্বের অন্যতম গভীরতম স্টেশন হতে চলেছে হাওড়া স্টেশন। যা মাটির ৩০ মিটার গভীরে অবস্থিত। এদিকে এসপ্ল্যানেড স্টেশনটি নর্থ-সাউথ করিডর মেট্রোর সঙ্গে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর ইন্টারচেঞ্জিং স্টেশন হবে।