বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Congress MLA arrested in Nuh Violence: হরিয়ানা হিংসা কাণ্ডে রাজস্থান থেকে গ্রেফতার কংগ্রেস বিধায়ক, নুহ-তে জারি ১৪৪ ধারা
Congress MLA arrested in Nuh Violence: হরিয়ানা হিংসা কাণ্ডে রাজস্থান থেকে গ্রেফতার কংগ্রেস বিধায়ক, নুহ-তে জারি ১৪৪ ধারা Updated: 15 Sep 2023, 11:38 AM IST Abhijit Chowdhury হরিয়ানার নুহ জেলায় কয়েকদিন আগে ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে গ্রেফতার করা হল কংগ্রেস বিধায়ককে। ধৃত কংগ্রেস বিধায়ক মাম্মান খান হরিয়ানার ফিরোজপুর ঝিরকা থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। আজ এই কংগ্রেস বিধায়ককে আদালতে পেশ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। 1/4 হরিয়ানার নুহ জেলার সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে গ্রেফতার করা হল সেই রাজ্যের এক কংগ্রেস বিধায়ককে। হরিয়ানা পুলিশের একটি বিশেষ দল সেই বিধায়ককে রাজস্থানের আজমেঢ় থেকে গ্রেফতার করে গতকাল। আজ সেই বিধায়ককে নুহ জেলার স্থানীয় আদালতে পেশ করা হবে। এই পরিস্থিতিতে আজ নুহ জেলায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। ফের যাতে অশান্তি না ছড়ায়, তার জন্য তৎপর রয়েছে পুলিশ। 2/4 এদিকে হরিয়ানার নুহ-এর ডিএসপি সতীশ কুমার জানান, মাম্মান খান ঠিক কীভাবে এই হিংসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তা এখনই প্রকাশ করা যাবে না। তদন্তের স্বার্থেই বিস্তারিত তথ্য গোপন রাখা হচ্ছে আপাতত। এর আগে নুহ কাণ্ডের তদন্তে গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দল দু'বার তলব করেছিল কংগ্রেস বিধায়ককে। তবে দু'বারই তিনি তলব এড়িয়ে যান। এই আবহে গতকাল কংগ্রেস শাসিত রাজস্থান থেকে হরিয়ানার এই বিধায়ককে গ্রেফতার করে বিশেষ দল। 3/4 প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই একটি ধর্মীয় মিছিলকে আটকানোর অভিযোগে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় হরিয়ানার নুহ এবং গুরুগ্রাম জেলায়। উল্লেখ্য, হরিয়ানার বজরং দল কর্মী মনু মানেসারকে কেন্দ্র করেই এই হিংসা ছড়িয়েছিল। গত ফেব্রুয়ারিতে ভিওয়ানিতে দুই মুসলিম যুবককে খুন করার ঘটনায় মনু পলাতক ছিল। সেই মনু ভিডিয়ো পোস্ট করে দাবি করেছিল এই ধর্মীয় মিছিলে সে থাকবে। এই আবহে গুরুগ্রাম আলওয়ার হাইওয়েতে এই যাত্রা থামান কয়েকজন। এরপরই মিছিল লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া হয়। 4/4 সেদিন সন্ধ্যার দিকে গুরুগ্রাম সোহনা হাইওয়েতে হিংসা ছড়াতে থাকে। একাধিক গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনার জেরে বেশ কিছু বাড়িঘর, দোকানেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ধর্মস্থানেও হামলা হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করেও চলে ইট বৃষ্টি। হিংসার ঘটনায় দুই হোমগার্ড সহ অন্তত তিনজনের মৃত্যু ঘটে। প্রায় ২৫০০ জন এক শিবমন্দির চত্বরে আশ্রয় নেন। পরে অন্যত্র হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। রাতে সেক্টর ৫৭-এর মসজিদে হামলা হয়েছিল। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল মসজিটিতে। সেখানে চালানো হয়েছিল গুলি। তাতে মৃত্যু হয়েছিল এক ইমামের। জখম হয়েছিলেন আরও তিনজন।