ভোটের দিনই ঝুলে গেল বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের মোবাইল অ্যাপ। যে অ্যাপ তৈরি করতে ২১ কোটি বাংলাদেশি টাকা (ভারতীয় মুদ্রায় ১৫ কোটি টাকা) খরচ হয়েছে বলে একটি মহলের তরফে দাবি করা হচ্ছে। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের দাবি, দুই দেশের হ্যাকাররা হামলা চালিয়েছে।
1/5 ভোটের দিন সাইবার আক্রমণের মুখে পড়ল বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের মোবাইল অ্যাপ। নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় টাটকা আপডেট প্রদানের জন্য ওই অ্যাপ তৈরি করা হয়। কিন্তু তাতে হামলা চালায় ইউক্রেন এবং জার্মানির হ্যাকাররা। তার জেরে ওই অ্যাপ একেবারে ঢিমেগতিতে কাজ করছে বলে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের তরফে দাবি করা হয়েছে। (ছবি সৌজন্যে এএফপি)
2/5 বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ঢাকা ট্রিবিউনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সচিব মহম্মদ জাহাঙ্গির আলম জানিয়েছেন যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের যাবতীয় টাটকা আপডেট প্রদানের জন্য 'স্মার্ট ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট বিডি' বলে একটি মোবাইল অ্যাপ তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু রবিবার সকালে ভোটগ্রহণের শুরু থেকে মানুষ অভিযোগ করতে থাকেন যে অ্যাপটি ঠিকভাবে কাজ করছে না। ওই অ্যাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে রয়টার্স)
3/5 ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সচিব জানিয়েছেন যে সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয়। তাতে জানা গিয়েছে যে ওই অ্যাপ হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন এবং জার্মানির হ্যাকাররা। তিনি বলেন, 'স্মার্ট ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট বিডি অ্যাপে সাইবার হানা চালিয়েছে ইউক্রেন ও জার্মানির হ্যাকাররা।' (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে রয়টার্স)
4/5 বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সচিব আরও দাবি করেছেন যে সাইবার হামলার পরে 'স্মার্ট ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট বিডি' অ্যাপ ঢিমেগতিতে চলছে। একেবারে বন্ধ হয়ে যায়নি। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিনি বলেছেন যে ‘এই সমস্যার সমাধানের জন্য আমাদের টিম লাগাতার কাজ করে যাচ্ছে। ঢিমেগতিতে কাজ করলেও সচল আছে অ্যাপটি।’ (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে রয়টার্স)
5/5 তারইমধ্যে ২১ কোটি বাংলাদেশি টাকা দিয়ে ওই 'স্মার্ট ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট বিডি' অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে বলে একটি মহল থেকে যে দাবি করা হচ্ছে, তা পুরোপুরি অসত্য বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সচিব। তিনি জানিয়েছেন, সার্বিকভাবে ছয় বছরের একটি প্রকল্প শুরু করা হয়েছে। আর সেই প্রকল্পের একটি অংশ ছিল ওই অ্যাপ। সার্বিকভাবে ওই পুরো প্রকল্পের খরচ ২১ কোটি বাংলাদেশি টাকা পড়তে পারে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে এপি)