খলিস্তানি জঙ্গি গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে খুনের ছকে যুক্ত থাকার অভিযোগে ভারতীয় নাগরিক নিখিল গুপ্তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে মার্কিন আদালতে। নিখিল এখন চেক প্রজাতন্ত্রের জেলে বন্দি। এরই মাঝে নিখিলের পরিবার ভারতের সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছে। এই আবহে চেক সরকার মুখ খুলল নিখিলকে নিয়ে।
1/5 সুপ্রিম কোর্টে নিখিলের পরিবারের মামলা দায়ের প্রসঙ্গে চেক প্রজাতন্ত্র বলেছে, ভারতীয় বিচার ব্যবস্থার এক্তিয়ার নেই এখানে। চেক আইন মন্ত্রকের মুখপাত্র ভ্লাদিমির রেপকা বলেন, 'এই বিষয়টি এখন চেক বিচার ব্যবস্থার অধীনে।' এদিকে জানা গিয়েছে, আমেরিকা নিখিলকে নিজেদের দেশে নিয়ে যেতে আবেদন জানিয়েছে চেক প্রজাতন্ত্রের কাছে। এদিকে বিগত কয়েক মাসে অন্তত তিনবার ভারতীয় দূতাবাস কর্মীরা নিখিলের সঙ্গে দেখা করতে পেরেছেন বলেও জানা গিয়েছে।
2/5 উল্লেখ্য, ভারতে ইতিমধ্যেই নিষিদ্ধ গুরপতবন্তের 'সিখস ফর জাস্টিস'। সেই সংগঠনেরই প্রতিনিধি হিসেবে কানাডায় নিযুক্ত ছিল হরদীপ সিং নিজ্জর। এই আবহে সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসে একটি মার্কিন রিপোর্ট। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, এক ভারতীয় সরকারি আধিকারিক নিখিলের মাধ্যমে পান্নুনকে হত্যার ছক কষেছিলেন। এই আবহে নিখিল এক বন্দুকবাজকে এই কাজের জন্যে নিয়োগ করেছিলেন। তবে নিখিল যে বন্দুকবাজকে নিযুক্ত করেছিলেন, সে আদতে ছিল মার্কিন প্রশাসনেরই এজেন্ট। এই আবহে গোটা পরিকল্পনা বানচাল হয়ে যায়।
3/5 এদিকে নিখিলের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই মার্কিন আদালতে মামলা করা হয়েছে। চেক প্রশাসন জানিয়েছে, আমেরিকার অনুরোধেই নিখিলকে তারা গ্রেফতার করেছে। এদিকে ভারতও মেনে নিয়েছে যে আমেরিকা থেকে এই সংক্রান্ত তথ্য তাদের হাতে এসেছে। এবং এই গোটা ঘটনার তদন্তের জন্যে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে দিল্লি।
4/5 মার্কিন অ্যাটর্নি অফিসের তরফে দাবি করা হয়েছে, পান্নুনকে হত্যার ছক কষার অভিযোগে দায়ের মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে নিখিল গুপ্তাকে। তাঁর বিরুদ্ধে ‘খুনের জন্য বরাত দেওয়ার’ ধারায় দায়ের করা হয়েছে মামলা। ভারত সরকারের এক এজেন্সির আধিকারিকের নির্দেশেই নাকি নিখিল এই কাজ করেন। তবে ভারত সরকারের যে কর্মচারীর বিরুদ্ধে সেই অভিযোগ তোলা হয়েছে, তাঁর পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। এই আবহে গত ৩০ জুন চেক প্রজাতন্ত্র থেকে নিখিলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
5/5 অ্যাটর্নি অফিসের তরফে দাবি করা হয়েছে, খলিস্তানি জঙ্গিকে হত্যার জন্য ১ লাখ মার্কিন ডলারের রফা হয়েছিল। অগ্রিম বাবদ 'আততায়ী'-কে ১৫ হাজার মার্কিন ডলার দেওয়া হয়। তবে সেই 'আততায়ী' আদতে মার্কিন প্রশাসনেরই 'আন্ডার কভার এজেন্ট' ছিল। এরপরই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয় মার্কিন প্রশাসন। পরে ওয়াশিংটনের অনুরোধে চেক প্রজাতন্ত্র গ্রেফতার করেছিল নিখিল গুপ্তাকে।