কয়েক মাস আগেই মণিপুরে কুকি মহিলাদের গণধর্ষণের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল গোটা দেশ। এবার ফের একবার মণিপুরের এক বিভীষিকাময় ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, এক ব্যক্তিকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। এই ভিডিয়ো নিয়ে কী বলছে সরকার?
1/7 মণিপুরের গণধর্ষণের ভাইরাল ভিডিয়ো নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা দেশকে। এবার আরও একটি ভয়ঙ্কর ভিডিয়ো ভাইরাল হল সেই রাজ্য থেকেই। সম্প্রতি ইন্ডিয়া জোটের তরফে থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে দাবি করা হয়েছিল সেটি মণিপুরের। সেই ভিডিয়োতে নাকি একজন কুকি জনজাতির ব্যক্তিকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। এই ঘটনায় মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে কেন্দ্রের ওপর চাপ বাড়াতে চাইছে বিরোধীরা।
2/7 এদিকে ভাইরাল ভিডিয়ো নিয়ে মুখ খুলেছে সরকার। মণিপুর সরকারের নিরাপত্তা উপদেষ্টা কুলদীপ সিং ইম্ফলে গতকাল জানান, ৭ সেকেন্ডের সেই ভাইরাল ভিডিয়োটি গত মে মাসের ৪ তারিখের। ঘটনায় মৃত ব্যক্তির নাম লালডিংথা খোঙ্গাসি, বয়স ৩৭ বছর। কাংপোকপি জেলার পাওকংচিং গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন লালডিংথা। কুলদীপ জানান, সেই ব্যক্তিকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছে কি না, সেটা স্পষ্ট নয়।
3/7 ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে লালডিংথা কালো শার্ট এবং কেমোফ্লাজ প্যান্ট পরে আছেন। মাটিতে পড়ে তাঁর দেহ। তাঁর গায়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে কয়েকজন। সেখানে একজন ভিডিয়ো করতে বারণ করছিল। তখন অপর একজনকে বলতে শোন গিয়েছিল, 'কেন ভিডিয়ো করব না? ভিডিয়ো করে ভইরাল করে দেব। কুকিদের বুঝতে হবে এটা আমাদের জায়গা।' এদিকে জানা গিয়েছে লালডিংথার মৃতদেহ ইম্ফলের জওহরলাল নেহরু ইনস্টিটিউটের মর্গে পড়ে আছে এখনও। এদিকে এই ঘটনার সিবিআই তদন্তের আর্জি জনানো হয়েছে।
4/7 উল্লেখ্য, গত ৩ মে থেকে জাতিগত হিংসার সাক্ষী মণিপুর। মাঝে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত ছিল। তবে পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি অবস্থা। এখনও পর্যন্ত কয়েক হাজার জনকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চূড়াচাঁদপুর, মোরে, কাকচিং এবং কাংপোকপি জেলা থেকে অধিকাংশ মানুষকে সরানো হয়েছে। এরই মধ্যে হিংসায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। অভিযোগ উঠেছে কুকি ‘জঙ্গিরা’ অটোমেটিক রাইফেল নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই আবহে কুকি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে সেই রাজ্যে।
5/7 এরই মাঝে গত জুলাই মাসে ভাইরাল হয়েছিল মণিপুর বিভীষিকার এক অকল্পনীয় ভিডিয়ো। দেখা গিয়েছিল, দুই মহিলাকে নগ্ন করিয়ে ঘোরানো হচ্ছে রাস্তায়। পরে তাঁদের মাঠে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। অভিযোগ, তাঁদের গণধর্ষণ করা হয়েছিল। সেই ঘটনা ঘটেছিল গত ৪ মে। ঘটনার ৭৭ দিন পর এই মামলায় প্রথম গ্রেফতারি হয়। আর সেই একই দিনে, অর্থাৎ, ৪ মে মণিপুরের রাজধানীতে দুই যুবতীকে গণধর্ষণ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। সেই মামলায় প্রায় ৮০ দিন পরে গিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছিল কয়েকজন অভিযুক্তকে।
6/7 এদিকে ভাইরাল ভিডিয়ো নিয়ে মুখ খুলেছে সরকার। মণিপুর সরকারের নিরাপত্তা উপদেষ্টা কুলদীপ সিং ইম্ফলে গতকাল জানান, ৭ সেকেন্ডের সেই ভাইরাল ভিডিয়োটি গত মে মাসের ৪ তারিখের। ঘটনায় মৃত ব্যক্তির নাম লালডিংথা খোঙ্গাসি, বয়স ৩৭ বছর। কাংপোকপি জেলার পাওকংচিং গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন লালডিংথা। কুলদীপ জানান, সেই ব্যক্তিকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছে কি না, সেটা স্পষ্ট নয়।
7/7 মণিপুরের গণধর্ষণের ভাইরাল ভিডিয়ো নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা দেশকে। এবার আরও একটি ভয়ঙ্কর ভিডিয়ো ভাইরাল হল সেই রাজ্য থেকেই। সম্প্রতি ইন্ডিয়া জোটের তরফে থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে দাবি করা হয়েছিল সেটি মণিপুরের। সেই ভিডিয়োতে নাকি একজন কুকি জনজাতির ব্যক্তিকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। এই ঘটনায় মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে কেন্দ্রের ওপর চাপ বাড়াতে চাইছে বিরোধীরা।