বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > CJI Chandrachud on Article 370: '৩৭০ ধারা স্থায়ী বিধান ছিল না', ঐতিহাসিক রায়ে কী কী পর্যবেক্ষণ করলেন CJI চন্দ্রচূড়?
CJI Chandrachud on Article 370: '৩৭০ ধারা স্থায়ী বিধান ছিল না', ঐতিহাসিক রায়ে কী কী পর্যবেক্ষণ করলেন CJI চন্দ্রচূড়? Updated: 11 Dec 2023, 03:00 PM IST Abhijit Chowdhury ৩৭০ ধারা বাতিলের দীর্ঘ ৪ বছর পর এই সংক্রান্ত মামলার রায়দান করল সুপ্রিম কোর্ট। সরকারের সেই সিদ্ধান্তকে আইনি বৈধতা দিয়ে শীর্ষ আদালত মামলাকারীদের আবেদন খারিজ করে দেয়। এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় কী কী পর্যবেক্ষণ করলেন? 1/5 জাস্টিস চন্দ্রচূড় রায়দানের সময় বলেন, ‘ভারতে যোগদানের সময় স্বাধীনতা বা সার্বভৌমত্ব বজায় রাখেনি জম্মু ও কাশ্মীর।’ মামলাকারীদের আবেদন খারিজ করে প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘কেন্দ্রের সব সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানানো যায় না। তাতে নৈরাজ্য সৃষ্টি হবে।’ এছাড়াও জাস্টিস চন্দ্রচূড় বলেন, ‘৩৭০ ধারাকে অস্থায়ী আইন বলেই গণ্য করছি আমরা।’ 2/5 এদিকে ৩৭০ ধারাকে অস্থায়ী বিধান আখ্যা দিয়ে জাস্টিস চন্দ্রচূড় আজ বলেন, 'আমরা মনে করি যে ৩৭০ ধারা একটি অস্থায়ী বিধান। এটি একটি অন্তর্বর্তী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার উদ্দেশ্য প্রবর্তন করা হয়েছিল। সেই সময় জম্মু ও কাশ্মীরে যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে এটি একটি অস্থায়ী বিধান ছিল। এটা অস্থায়ী বিধান ছিল বলেই তা সংবিধানের ২১ নং পার্টে রাখা হয়েছিল।' 3/5 জাস্টিস চন্দ্রচূড় বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরের একীকরণের জন্য ৩৭০ ধারা বাতিলের ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। তাই ৩৭০ ধারা বাতিলের সিদ্ধান্তকে বেআইনি আখ্যা দেওয়া যায় না। এই আবহে ৩৭০ ধারা বাতিল করতে রাষ্ট্রপতি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে করা আপিল মেনে নিতে পারছে না এই বেঞ্চ।’ 4/5 বিচারপতি চন্দ্রচূড় নিজের রায়ে বলেন, ‘জম্মু ও কাশ্মীরের সংবিধান শুধুমাত্র ভারতের সাথে তার সম্পর্ককে আরও সংজ্ঞায়িত করার জন্যই ছিল। জম্মু ও কাশ্মীরের কোনও অভ্যন্তরীণ সার্বভৌমত্বও ছিল না। এর সংবিধান ভারতের সংবিধানের অধীনস্থ ছিল। ৩৭০ ধারা অস্থায়ী বিধান ছিল। রাষ্ট্রপতির কাছে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করার ক্ষমতা ছিল। ৩৭০ ধারা বাতিল করার আগে জম্মু ও কাশ্মীরের সাংবিধানিক পরিষদের সুপারিশের কোনও প্রয়োজন ছিল না।’ 5/5 জম্মু ও কাশ্মীরের নির্বাচন প্রসঙ্গে জাস্টিস চন্দ্রচূড় বলেন, ‘ভারত সরকারের পক্ষ থেকে আদালতে উপস্থিত হয়ে সলিসিটর জেনারেল জানিয়েছেন, জম্মু ও কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা অস্থায়ী পদক্ষেপ। ফের জম্মু ও কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে। তবে জম্মু ও কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত নির্বাচন না হলে তা ঠিক হবে না। তাই ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার জন্যে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে। এছাড়া যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জম্মু ও কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হোক।’