বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > ICC ODI World Cup 2023: বাবর থেকে বাটলার-দিওয়ালির ব্যর্থ রকেটের মত মাটিতে আছড়ে পড়লেন যে এক ডজন তারকা
ICC ODI World Cup 2023: বাবর থেকে বাটলার-দিওয়ালির ব্যর্থ রকেটের মত মাটিতে আছড়ে পড়লেন যে এক ডজন তারকা Updated: 20 Nov 2023, 10:39 PM IST Tania Roy ২০২৩ ওডিআই বিশ্বকাপে যে সমস্ত প্লেয়ারদের উপর তাদের দলগুলো ভরসা করেছিলেন, তাঁরা অনেকেই চূড়ান্ত হতাশ করেছেন। ব্যর্থ হয়ে ডুবিয়েছেন নিজেদের টিমকেই। সেই তালিকায় রয়েছেন বাবর আজম, জস বাটলার, শাকিব আল হাসানরা। 1/12 ২০২৩ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের অধিনায়ক হিসাবে বাবর আজম খুব খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। তিনি তাঁর দলকে সেমিফাইনালে নিয়ে যেতে ব্যর্থ হন। মেন ইন গ্রিন শেষ পর্যন্ত মাত্র আট পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে শেষ করে। তাছাড়া ব্যাট হাতেও বাবরের পারফরম্যান্স আহামরি ছিল না। বাবর ন'টি ম্যাচে ৪০ গড়ে ৩২০ রান করেছেন। কিন্তু সমস্ত ম্যাচেই তাঁর স্ট্রাইক রেট ১০০-এর নীচে ছিল। তিনি এই টুর্নামেন্টে চারটি হাফসেঞ্চুরি করেছেন। তবে একটিও সেঞ্চুরিও পাননি। ব্যাট হাতে বাবরের ফর্মে না থাকাটা পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপকে আরও ভারসাম্যহীনতার দিকে নিয়ে গিয়েছে। বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপর্যের পর বাবর সমস্ত ফরম্যাটে অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। ছবি: রয়টার্স 2/12 ইংল্যান্ড ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসাবে ২০২৩ বিশ্বকাপে খেলতে নেমেছিল। এবং অধিনায়ক জোস বাটলারের উপর বড় দায়িত্ব ছিল, আগের বারের পারফরম্যান্সের ধারা অব্যাহত রাখার। তবে বাটলার অধিনায়ক হিসাবে যেমন ব্যর্থ তেমনই ব্যাটার হিসাবেও হতাশ করেছেন। ৩৩ বছর বয়সী তারকার এই বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ৪৩। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এই রান করেছিল। তার পর থেকে বাটলারের গ্রাফ ছিল নিম্নমুখী। তাঁর পরবর্তী সেরা স্কোর ছিল ইংল্যান্ডের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ২৭ রান। এবং লিগের ন'টি খেলায় চার বার এক অঙ্কের ঘরে রান করেছেন তিনি। ছবি: এএফপি 3/12 বাংলাদেশ অধিনায়ক শাকিব আল হাসানের কাছ থেকে অনেক বেশি প্রত্যাশা ছিল। ২০১৯-এ ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ওডিআই বিশ্বকাপে শাকিব ৬০৬ রান করেছিলেন। কিন্তু এবার তিনি চূড়ান্ত ব্যর্থ হন। শাকিব ২০১৯ সালে যে রান করেছিলেন, তাঁর অর্ধেকও করতে পারেননি এবার। সাতটি ম্যাচে ২৬.৫৭ গড়ে মাত্র ১৮৬ রান করেছেন তিনি। ব্যাটিং ব্যর্থতার পাশাপাশি তাঁর নেতৃত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ছবি: এএনআই 4/12 আহত এনরিখ নরকিয়ার অনুপস্থিতিতে দক্ষিণ আফ্রিকার পেস আক্রমণের নেতৃত্বে ছিলেন কাগিসো রাবাদা। যদিও রাবাদা তাঁর আইপিএল অভিজ্ঞতার জন্য ভারতীয় পরিস্থিতির সঙ্গে ভালো ভাবেই পরিচিত, তবে ২৮ বছরের তারকা বল হাতে এবার নিরাশ করেছেন। ন'টি ম্যাচে মাত্র ১৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। যদিও রাবাদা শুরুটা ভালো করেছিলেন। প্রথম তিন ম্যাচ থেকে সাত উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তী ছয় ম্যাচ থেকে মাত্র ৬টি উইকেট নিতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। ছবি: পিটিআই 5/12 মাহিশ থিকশানা এশিয়া কাপে ভালো খেলার সুবাদে বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পান। চার ম্যাচে নয় উইকেট নিয়েছিলেন এশিয়া কাপে। তবে থিকশানা বিশ্বকাপে খুব খারাপ পারফরম্যান্স করেন। আট ম্যাচে মাত্র ছয় উইকেট নেন তিনি। এবং আফগানিস্তান ও ভারতের বিরুদ্ধে কোনও পাননি। রান দিয়েছিলেন যথাক্রমে ৫৫ এবং ৬৭। ছবি: পিটিআই 6/12 হ্যারিস রউফ র৯ ম্যাচ থেকে ১৬টি উইকেট নিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু ৫৩৩ রান গলিয়েছেন। যা বিশ্বকাপের একক সংস্করণে সবচেয়ে বেশি রান গলানোর নজির। এর আগে ২০১৯ সালে আদিল রশিদের ৫২৬ রান গলানোর লজ্জার নজিরকে ছাড়িয়ে গিয়েছেন রউফ। তাঁর অপরিপক্ক পেস এবং বৈচিত্র্যের অভাবের জন্য ব্যাটাররা তাঁকে পিটিয়ে ছাতু করেছে। পাকিস্তানের লিগ পর্ব থেকে বিদায় নেওয়ার পেছনে একটি বড় কারণ বল রউফের রান বিলানো। ছবি: এপি 7/12 শ্রীলঙ্কার কুশল পেরেরা রীতিমতো হতাশ করেছেন। তিনি প্রত্যাশা পূরণে একেবারে ব্যর্থ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৭৮ এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০২৩ বিশ্বকাপের দ্রুততম হাফসেঞ্চুরিটুকু বাদ দিলে বাকি ভাঁড়ার শূন্য। সাতটি ম্যাচ খেলে পাঁচটিতেই এক অঙ্কের বাইরে বের হতে পারেননি কুশল। ছবি: এএফপি 8/12 ৭৯.৬৩ গড়ে ৬৩৭ রান এবং ১০৫-এর স্ট্রাইক রেট সহ তেম্বা বাভুমা ২০২৩ সালে ওডিআই-এ দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে শীর্ষস্থানীয় রান-স্কোরার হিসাবে বিশ্বকাপে খেলতে এসেছিলেন। তবে টুর্নামেন্টে তিনি ১৮.১২-এর অপ্রতিরোধ্য গড়ে মাত্র ১৪৫ রান করেছেন। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকাকে সেমিফাইনালে নিয়ে গেলেও, তাঁর ব্যাটিংব্যর্থতা ছিল অকল্পনীয়। ছবি: রয়টার্স 9/12 ২০২৩ বিশ্বকাপে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের ব্যর্থতার বড় কারণ জো রুটের ব্যাটিং ব্যর্থতা। ২০১৯ সংস্করণে তাদের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী ছিলেন জো রুট। কিন্তু এবার তিনি ৩০.৬৬ গড়ে ৯ ম্যাচে মাত্র ২৭৬ রান করেছেন। তাঁর স্ট্রাইকরেট মাত্র ৮৮.৪৬। ছবি: এএনআই 10/12 পাকিস্তানের প্রধান স্পিনার এবং সহ-অধিনায়ক শাদাব খানের অত্যন্ত খারাপ পারফরম্যান্সের কারণে দলও কিন্তু ডুবেছে। ছ'টি ম্যাচ খেলে মাত্র দুই উইকেট নিয়েছেন শাদাব। প্রতি ওভারে ৬.২৮ ইকোনমি রেট এবং ১১৮.৫০ গড়ে রান দিয়েছেন। ব্যাট হাতে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৩৬ বলে ৪৩ রান করেছিলেন। এর বাইরে তিনি ব্যাট হাতেও সাফল্য পাননি। ছবি: এএনআই 11/12 সীমিত ওভারের ক্রিকেটে মিডল-অর্ডার ব্যাটার হিসাবে খেলে থাকেন টম লাথাম। তিনি আবার টেস্ট ক্রিকেটে ওপেন করেন। লাথাম এবার বিশ্বকাপে ১০ ম্যাচে মাত্র ১৭০ রান করেছেন। গড় ২৫.৮৩। কেন উইলিয়ামসনের অনুপস্থিতিতে বেশির ভাগ খেলায় নিউজিল্যান্ডকে নেতৃত্ব দিয়েছেন লাথাম। তবে ব্যাটার হিসাবে তিনি চূড়ান্ত ব্যর্থ। ছবি: এএফপি 12/12 ছ'টি ম্যাচে মইন আলি ৭৪ স্ট্রাইক রেটে ৯৫ রান করেছেন এবং তিনি প্রথম চারটি ম্যাচে উইকেটহীন ছিলেন। নেদারল্যান্ডস ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যথাক্রমে ৪২ রানে ৩ উইকেট এবং ৬০ রানে ২ উইকেট নেন। ছবি: এএফপি