অর্থ উপার্জন করা খুব একটা সহজ কাজ নয়। কিন্তু সম্পত্তি বৃদ্ধি তার থেকেও কঠিন কাজ। আপনার টাকা নিরাপদ রাখতে হলে কম ঝুঁকি নেবেন। এদিকে কম ঝুঁকি নিয়ে বিনিয়োগ করলে ভালো রিটার্ন পাওয়া যায় না। এই আবহে উপায় কী?
1/6 চাকরি বা ব্যবসা করে অর্থ উপার্জন করা যায়। তবে সম্পত্তি বৃদ্ধির একমাত্র উপায় বিনিয়োগ। এজন্য অবশ্য সঠিক পরিকল্পনা করা গুরুত্বপূর্ণ। কোথায় কী সুবিধা পাওয়া যা তা জেনে বিনিয়োগ করা উচিত। (রয়টার্স)
2/6 প্রথম বিষয় হল, আপনি যত কম বয়সে বিনিয়োগ শুরু করবেন, ভবিষ্যতে আপনার সম্পত্তির পরিমাণ তত বেশি হতে পারে। তবে কোটিপতি হওয়া সহজ নয়। তবে আপনি যদি দীর্ঘ সময়ের জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ বিনিয়োগ করেন, তাহলে আপনিও হতে পারেন কোটিপতি। এর পেছনে কম্পাউন্ডিংয়ের সূত্র কাজ করে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সবতেয়ে শক্তিশালী শূত্র হল এই – ‘পাওয়ার অফ কম্পাউন্ডিং’। (প্রতীকী ছবি)
3/6 পাওয়ার অফ কম্পাউন্ডিং কী? যেমন ভাবে ফিক্সড ডিপোজিটে সুদ পাওয়া যায়, ঠিক তেমনই। মূল নিবেশের ওপর যে সুদ যোগ হয়, পরবর্তী ক্ষেত্রে সেই যোগফলের উপর আপার সুদ পাওয়া যায়। অর্থাৎ - (বিনিয়োগ + সুদ) + সুদ + ....। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে রয়টার্স)
4/6 এভাবে আপনি ১৫-র ফর্মুলা লাগিয়ে কোটিপতি হতে পারেন। আপনি ১৫ বছরের জন্য ১৫ হাজার টাকা করে যদি বিনিয়োগ করেন এবং তাতে ১৫ শতাংশ হারে সুদ পান তাহলে আপনার মোট সম্পত্তির পরিমাণ এক কোটি টাকা হবে। কিন্তু এর জন্য আপনাকে বিনিয়োগ করতে হবে মাত্র ২৭ লাখ টাকা। আর আপনি সুদ বাবদ পাবেন ৭৩ লাখ টাকা। (প্রতীকী ছবি)
5/6 আপনি যদি মিউচুয়াল ফান্ডের সাথে মাসিক এসআইপি করেন। ১০ হাজার টাকা দিয়ে শুরু করুন। সাধারণত, মিউচুয়াল ফান্ডে রিটার্ন ১২ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। এখানে আপনাকে ২০ বছর পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে হবে কোটিপতি হতে। ২০ বছরে আপনার মোট বিনিয়োগ হবে ২৪ লক্ষ টাকা। কিন্তু, এতে যে সুদ পাওয়া যাবে তা হবে ৭৪.৯৩ লাখ টাকা। এর অর্থ আমনার মোট অর্থের মূল্য হবে ৯৮.৯৩ লক্ষ টাকা।
6/6 এটি এমনভাবে বোঝা যায় যে আপনি কোথাও বিনিয়োগ করে যে অর্থ উপার্জন করেন, তা পুনরায় বিনিয়োগ করে চক্রবৃদ্ধি হারে আয় করতে পারেন। এতে, আপনি মূল অর্থের ওপর যে সুদ পাচ্ছেন, তার ওপরও সুদ পাবেন। এভাবেই চক্রবৃদ্ধি হারে আপনার বিনিয়োগ বাড়ানো একটি দুর্দান্ত উপায়। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে এএফপি)