বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > ISRO Chief on Chandrayaan: 'যদি জেগে ওঠে...', চন্দ্রযান নিয়ে বড় মন্তব্য ইসরো প্রধানের, দিলেন চতুর্থ অভিযানের বার্তা
ISRO Chief on Chandrayaan: 'যদি জেগে ওঠে...', চন্দ্রযান নিয়ে বড় মন্তব্য ইসরো প্রধানের, দিলেন চতুর্থ অভিযানের বার্তা Updated: 16 Oct 2023, 07:00 AM IST Abhijit Chowdhury মহাকাশ বিজ্ঞানের ইতিহাসে নজির গড়ে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রেখছে ভারত। চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্যে গোটা বিশ্বের প্রশংসা কুড়িয়েছে ইসরো। এই অভিযান থেকে আশাতীত ফল মিলেছে। এই আবহে আশা করা হচ্ছিল, ঘুমিয়ে পড়েও চাঁদের মাটিতে ফের জেগে উঠবে চন্দ্রযানের ল্যান্ডার ও রোভার। এই নিয়ে এবার মুখ খুললেন ইসরো প্রধান। 1/7 যাবতীয় আশা, আকাঙ্খা ছাপিয়ে গিয়ে সাফল্য অর্জন করেছে চন্দ্রযান ৩। তবে 'ইয়ে দিল মাঙে মোর'। মনে করা হয়েছিল, একবার অন্ধকার নামার পর ফের যখন চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সূর্যের আলো এসে পড়বে, তখন জেগে উঠবে চন্দ্রযানের ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞান। তবে তা হয়নি। এই আবহে মানুষের মনে প্রশ্ন, তাহলে কি বিক্রম ও প্রজ্ঞান চিরতরে ঘুমিয়ে পড়েছে? এই প্রশ্নের মুখে এবার মুখ খুললেন ইসরো প্রধান এস সোমনাথ। 2/7 চন্দ্রযান ৩-এর ঘুম ভাঙা প্রসঙ্গে ইসরো প্রধান এস সোমনাথ বলেন, 'আপাতত চাঁদের মাটিতে সুখে শান্তিতে ঘুমোচ্ছে বিক্রম ও প্রজ্ঞান। তারা তাদের কাজ খুব ভালো ভাবে করেছে। যদি তাদের ঘুম ভেঙে জেগে উঠতে ইচ্ছে করে, তাহলে তারা উঠবে। ততদিন আমরা অপেক্ষা করব।' এদিকে চাঁদের মাটিতে ফের একবার ইসরো পা রাখবে বলে বার্তা দিয়েছেন সোমনাথ। তবে চন্দ্রযান ৪-এর অভিযান কবে হবে, সেই নিয়ে কোনও স্পষ্ট ধারণা তিনি দেননি। 3/7 ২২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে প্রজ্ঞান ও বিক্রমের ঘুম ভাঙানোর চেষ্টা। তবে গত ১৪ দিনে ইসরোর বিজ্ঞানীদের ডাকে সাড়া দেয়নি চন্দ্রযানের ল্যান্ডার ও রোভার। ইসরোর বিজ্ঞানীরা অবশ্য জানিয়েছিলেন, চন্দ্রযানের ল্যান্ডার ও রোভার জেগে উঠলে তা 'বোনাস' হবে। তবে সেই বোনাস পায়নি ভারত। তবে এবারে না হলেও পরের বার দক্ষিণ মেরুর 'দিনের বেলায়' ঘুম ভাঙতে পারে বিক্রম ও প্রজ্ঞানের? এই প্রশ্নই ঘুরছিল অনেকের মনে। তবে ইসরো প্রধানের কথায় স্পষ্ট, আশা না হারালেও চন্দ্রযান ৩ নিয়ে 'বাস্তব সত্যিটা' মেনে নিয়েছেন তাঁরা। 4/7 প্রসঙ্গত, গত ২৩ অগস্ট চাঁদে অবতরণের পর ২ সেপ্টেম্বর রোভারকে 'ঘুম' পাড়িয়ে দেয় ইসরো। এদিকে গত ৪ সেপ্টেম্বর চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার বিক্রমকেও 'ঘুম' পাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। ইসরোর তরফে জানানো হয়, রোভারের পাশেই 'ঘুমিয়ে' পড়ে ল্যান্ডার। তবে এর রিসিভার চালু রাখা হয়েছিল। তবে সূর্যাস্তের পর চাঁদের দক্ষিণ মেরুর তাপমাত্রা হু হু করে নেমে যায়। হিমাঙ্কের নীচে প্রায় ২০০ ডিগ্রি পর্যন্ত পৌঁছে যায় পারদ। এই আবহে বিজ্ঞানীদের আশা ছিল, দক্ষিণ মেরুতে তাপমাত্র বাড়লে ফের সচল হয়ে উঠতে পারে প্রজ্ঞান ও বিক্রম। 5/7 ল্যান্ডার এবং রোভারের 'ঘুম' না ভাঙলেও হতাশ হওয়ার কিছু নেই বলে মত ইসরোর। কারণ যা যা কাজ ছিল, সেটার পুরোটাই সেরে ফেলেছে ল্যান্ডার ও রোভার। বিক্রমে রয়েছে 'চন্দ্র সারফেস থার্মো-ফিজিকাল এক্সপেরিমেন্ট' বা ChaSTE নামক একটি পেলোড। যা চাঁদের তাপমাত্রা খতিয়ে দেখেছে। তাছাড়া বিক্রমে রয়েছে লুনার সেসমিক অ্যাক্টিভিটি প্রোব বা ILSA নামক একটি পেলোড। এই ইলসা-র সেন্সর মহাজাগতিক গতিবিধির ওপর লক্ষ্য রেখেছে। এছাড়া বিক্রমে রয়েছে লেজার রেট্রোরিফ্লেক্টর অ্যারে, রেডিও অ্যানাটমি অফ মুন বাউন্ড হাইপারসেনসিটিভ আয়নস্ফিয়ার অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ার বা 'রম্ভা'। রম্ভা চাঁদের মাটিতে থাকা প্লাজমার ঘনত্ব মেপছে। 6/7 ল্যান্ডার এবং রোভারের 'ঘুম' না ভাঙলেও হতাশ হওয়ার কিছু নেই বলে মত ইসরোর। কারণ যা যা কাজ ছিল, সেটার পুরোটাই সেরে ফেলেছে ল্যান্ডার ও রোভার। বিক্রমে রয়েছে 'চন্দ্র সারফেস থার্মো-ফিজিকাল এক্সপেরিমেন্ট' বা ChaSTE নামক একটি পেলোড। যা চাঁদের তাপমাত্রা খতিয়ে দেখেছে। তাছাড়া বিক্রমে রয়েছে লুনার সেসমিক অ্যাক্টিভিটি প্রোব বা ILSA নামক একটি পেলোড। এই ইলসা-র সেন্সর মহাজাগতিক গতিবিধির ওপর লক্ষ্য রেখেছে। এছাড়া বিক্রমে রয়েছে লেজার রেট্রোরিফ্লেক্টর অ্যারে, রেডিও অ্যানাটমি অফ মুন বাউন্ড হাইপারসেনসিটিভ আয়নস্ফিয়ার অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ার বা 'রম্ভা'। রম্ভা চাঁদের মাটিতে থাকা প্লাজমার ঘনত্ব মেপছে। 7/7 প্রজ্ঞানও অনেক ছোটাছুটি করেছে চাঁদে। চন্দ্রযান ৩-এর রোভারটি চাঁদে অক্সিজেন, সালফারের মতো বিভিন্ন পদার্থ থাকার কথা জানিয়েছে। প্রজ্ঞানে থাকা LIBS এবং APXS পেলোডগুলি অনবরত কাজ করে গিয়েছিল। এদিকে প্রজ্ঞানের সঙ্গে রয়েছে একাধিক স্বয়ংক্রিয় ক্যামেরা। সেই ক্যামেরা দিয়েই চাঁদের মাটির ছবি পাঠিয়েছে প্রজ্ঞান। আর সেই ক্যামেরা দিয়েই নিজের বাহন বিক্রমেরও ছবি তুলে পাঠায় প্রজ্ঞান।