অবশেষে এল বহু প্রতীক্ষিত মুহূর্তে। জো বাইডেন পেনসেলভেনিয়ায় জেতার সঙ্গে সঙ্গেই নিশ্চিত করলেন রাষ্ট্রপতি পদ। একই সঙ্গে রেকর্ড গড়লেন হবু উপরাষ্ট্রপতি কমলা হ্যারিস। ভাঙলেন বহু অদৃশ্য দেওয়াল। মার্কিন ইতিহাসে যে তাঁর নাম চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে, সেটা বলাই বাহুল্য।
1/6 প্রথম মহিলা হিসেবে উপ রাষ্ট্রপতির দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন তিনি। একই সঙ্গে এই প্রথম কোনও কৃষ্ণাঙ্গ তথা এশিয়ান তথা ভারতীয় আমেরিকান এই দায়িত্বভার পাবেন।
2/6 বারবারই তাঁর কথায় উঠে এসেছে তাঁর মাতৃভূমি ভারত বিশেষত তামিলনাড়ুর কথা। কমলার মা প্রয়াত শ্যামলা গোপালান ছিলেন তামিলনাড়ুর বাসিন্দা, পড়াশোনার সূত্রে আমেরিকায় যাওয়ার আগে। সেখানে গিয়ে এক কৃষ্ণাঙ্গের প্রেমে পড়েন ও তাঁকে বিয়েও করেন। যদিও খুব বেশি দিন টেকেনি সেই বিয়ে। কর্মসূত্রে আমেরিকায় থেকে গেলেও ভারতের সঙ্গে যোগ ছিন্ন করেননি শ্যামলা। ছুটিতে চেন্নাইতেও নিয়ে আসতেন তাঁর দুই মেয়েকে।
3/6 ভোটপ্রচারে বারবার মা-র কথা বলতেন কমলা। তাঁর কথায়, ‘মাত্র পাঁচ ফুট উচ্চতার আমার মা যখন আমায় ক্যালিফোর্নিয়ার ওকল্যান্ডে কাইসার হাসপাতালে জন্ম দিয়েছিলেন, তখন তিনি ভাবতেই পারেননি যে একদিন আমি এই জায়গায় পৌঁছবো।’
4/6 ভোট প্রচারে নানান বিদ্রুপ সহ্য করতে হয়েছে তাঁকে কমলা নামের জন্য। ইচ্ছা করে বিকৃত ভাবে রিপাবলিকানরা নামটি উচ্চারিত করেছেন। তাঁকে ডায়নি বলে সম্বোধন করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু কিছুই টলাতে পারেনি তাঁকে।
5/6 ওকল্যান্ডে আইনজীবী হিসেবে শুরু। দ্রুতই কাজের মাধ্যমে সকলের নজর কাড়েন। সাফল্যের লিফট চড়ে ২০১০ ও ২০১৪ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল নির্বাচিত হন। ২০১৬ সালে দ্বিতীয় কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা ও প্রথম ভারতীয়-আমেরিকান মহিলা হিসেবে সেনেটে নির্বাচিত হন তিনি। ২০২০ সালে রাষ্ট্রপতি হওয়ার জন্য ডেমোক্র্যাটিক প্রাইমারিতে নাম দিলেও সেখানে হেরে যান। তাঁরপর তাঁকে ভাইস প্রেসিডেন্ট হওয়ার প্রস্তাব দেন জো বাইডেন, যেটা সাগ্রহে গ্রহণ করেন তিনি।