ভারতের সামনে হাওয়া টাইট হয়ে গেল মলদ্বীপের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অপমান করায় নিজের মন্ত্রীকেই হুঁশিয়ারি দিল দ্বীপরাষ্ট্রের সরকার। তবে মলদ্বীপের তরফে যে বিবৃতি জারি করা হয়েছে, তাতে একবারের জন্যও মোদী বা মন্ত্রী মারিয়ম শিউনার নাম উল্লেখ করা হয়নি। তারপরও পুরোটাই জলের মতো স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
1/5 প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে নিজেদের মন্ত্রীর কদর্য আক্রমণ থেকে দূরত্ব তৈরি করল মলদ্বীপ সরকার। দ্বীপরাষ্ট্রের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হল, মন্ত্রী মারিয়ম শিউনা বা অন্যান্যরা মোদীর বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন, তা তাঁদের ব্যক্তিগত মত। সেটা মলদ্বীপ সরকারের অবস্থান নয়। আর যাঁরা এরকম কদর্য ভাষা প্রয়োগ করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে দু'বার ভাববে না সরকার। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে এপি)
2/5 রবিবার মলদ্বীপ সরকারের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বিদেশি নেতা এবং উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় যে সব অবমাননাকর মন্তব্য করা হয়েছে, সেগুলি মলদ্বীপ সরকারের নজরে পড়েছে। ওইসব মত ব্যক্তিগত। সেগুলির মাধ্যমে মলদ্বীপ সরকারের অবস্থান প্রতিফলিত হয় না। তাছাড়া যাঁরা এরকম অবমাননাকর মন্তব্য করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে দু'বার ভাববে না সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।’ (ফাইল ছবি, সৌজন্যে এএনআই)
3/5 মোদীর বিরুদ্ধে কী মন্তব্য করেছিলেন মলদ্বীপের যুব মন্ত্রকের উপ-মন্ত্রী? মোদীর লাক্ষাদ্বীপ সফরের পরে শিউনা যে মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে, সেটা এখন ডিলিট করে দিয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। তবে একটি স্ক্রিনশট (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে যে মোদীকে ‘ভাঁড়’ বলেন শিউনা। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে এএফপি)
4/5 অথচ মলদ্বীপ নিয়ে একটা শব্দও খরচ করেননি মোদী। তাও মোদীকে আক্রমণ শানিয়েছেন মারিয়ম-সহ মলদ্বীপের নেটিজেনদের একাংশ। আর এমন সময় সেই মন্তব্য করেছেন মারিয়ম, যখন অর্থের জন্য বেজিংয়ে গিয়েছেন মলদ্বীপের চিনপন্থী রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মুইজি। আগামী বুধবার তাঁর দেশে ফেরার কথা আছে। আর ভোটের সময় তাঁর প্রচারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ছিলেন মারিয়ম। যিনি হামাসপন্থী মুখ হিসেবে পরিচিত। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে রয়টার্স)
5/5 রাজনৈতিক মহলের মতে, গত এপ্রিলে নির্বাচন জয়ের জন্য মেরুকরণের পথে হেঁটেছিলেন মুইজি। পুরোপুরি ভারত-বিরোধী প্রচার করেছিলেন। মলদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনাকে সরিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। আর নির্বাচনে জয়ের পরই ভারতকে সেনা ফিরিয়ে নিতে বলেন মুইজি। যিনি সুন্নি সালাফি মুসলিম। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে রয়টার্স)