মিউচুয়াল ফান্ড থেকে আয়ের উপরও ট্যাক্স দিতে হয়। সেই করের পরিমাণ অবশ্য নির্ভর করবে কত সময়ের জন্য কত টাকা বিনিয়োগ করেছেন এবং আপনার কত লাভ হয়েছে, তার ওপর। মূলধন লাভের ওপর এই কর প্রযোজ্য হবে। এদিকে বাজেটে 'ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্সে' কিছুটা রেহাই পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। এর আগে মিউচুয়াল ফান্ডের আয়ের ওপর করের বিশজ জানুন।
1/5 মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগে যে মুনাফা হয় তা অবশ্যই করযোগ্য। আপনার মিউচুয়াল ফান্ড লেনদেনের উপর কর নির্ভর করবে সেটা ইকুইটি-ভিত্তিক নাকি ঋণ তহবিল, তার ওপর। সেই সঙ্গে কতদিন ধরে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ ছিল, সেটাও ধরা হবে।
2/5 ইকুইটি ভিত্তিক স্কিমে যদি ১২ মাস বা তার কম সময়ের জন্য বিনিয়োগ করা হয়ে থাকে, তার লাভের ওপর ১৫ শতাংশ কর ধার্য করা হবে। ১২ মাসেরও বেশি সময় ধরে রাখা ইক্যুইটি ভিত্তিক স্কিমের থেকে প্রাপ্ত মুনাফাকে দীর্ঘমেয়াদী মূলধনের লাভ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। সেক্ষেত্রে সেই লাভের ওপর করের পরিমাণ ১০ শতাংশ।
3/5 অর্থাৎ, যদি ইক্যুইটিতে বিনিয়োগ এক বছরের কম সময়ের জন্য হয় এবং সেই অর্থবর্ষে লাভের পরিমাণ এক লক্ষ টাকার ওপর হয়, তাহলে আয়কর ১৫ শতাংশ। একই ভাবে যদি এক বছরের বেশি সময় ধরে ইক্যুইটি চলে ও তার থেকে বছরে ১ লাখ টাকার বেশি লাভ হয়, সে ক্ষেত্রে অতিরিক্ত আয়ের উপর ১০ শতাংশ কর দিতে হবে বিনিয়োগকারীকে।
4/5 এদিকে ট্যাক্স সেভিংস মিউচুয়াল ফান্ড বা ইক্যুইটি লিঙ্কড সেভিংস স্কিমে (ইএলএসএস) বিনিয়োগ করলে আইটি আইনের ধারা ৮০সি-এর অধীনে আয়কর ছাড় পাওয়া যায়। একজন বিনিয়োগকারী ইএলএসএস-এ সর্বাধিক ১.৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করতে পারেন। তবে আয়কর আইনের ধারা ৮০সি-র অধীনে কর ছাড়-সহ তিন বছরের লক-ইন রয়েছে এই প্রকল্পে।
5/5 ২০২৩ সালে বিনিয়োগের জন্য সেরা কিছু ট্যাক্স সেভিংস মিউচুয়াল ফান্ড হল - অ্যাক্সিস লং টার্ম ইক্যুইটি ফান্ড, কানারা রোবেকো ইক্যুইটি ট্যাক্স সেভার ফান্ড, ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ট্যাক্স অ্যাডভান্টেজ, মিরা অ্যাসেট ট্যাক্স সেভার ফান্ড, ইনভেসকো ইন্ডিয়া ট্যাক্স প্ল্যান ফান্ড, ডিএসপি ট্যাক্স সেভার ফান্ড ইত্যাদি। তবে বিনিয়োগ করার আগে সব দিক বিবেচনা করে নেওয়া উচিত।