সম্প্রতি ভারতের বিভিন্ন জায়গায় H3N2 ভাইরাসের হানায় কাবু হয়ে পড়েছেন অনেকেই। আম জনতার ভাষায় - ভাইরাল জ্বর। এই জ্বর থেকে নিস্তার পেতে অনেকেই ভুল বশত খেয়ে ফেলছেন অ্যান্টিবায়োটিক। যা আদতে শরীরের ক্ষতি করছে। জ্বরও কমছে না। এদিকে বাড়িতে ছোট শিশু থাকলে চিন্তা আরও বাড়ছে। দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এই জ্বর। এই আবহে এই জ্বর প্রতিহত করতে টিপস দিলেন প্রাক্তন এইমস প্রধান ডঃ রণদীপ গুলেরিয়া।
1/5ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারনাল মেডিসিন অ্যান্ড রেসপিরেটরি অ্যান্ড স্লিপ মেডিসিনের চেয়ারম্যান এবং মেডিক্যাল এডুকেশনের পরিচালক ডঃ রণদীপ গুলেরিয়া জানান, এই H3N2 ভাইরাসটি প্রতি বছর এই সময়ে রূপ পরিবর্তন করে এবং ফোঁটার আকারে হাওয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। ডঃ গুলেরিয়া বলেন, 'আমরা ইনফ্লুয়েঞ্জার কেসের সংখ্যায় বৃদ্ধি দেখতে পাচ্ছি। এর উপসর্গ মূলত জ্বর, গলা ব্যথা, শরীরে ব্যথা এবং সর্দি। এটি এক ধরনের ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, যা আমরা প্রতি বছর বছরের এই সময়ে দেখতে পাই। কিন্তু এটি একটি ভাইরাস যা সময়ের সাথে সাথে রূপ পরিবর্তন করে। এই রূপ পরিবর্তনকে আমরা অ্যান্টিজেনিক ড্রিফ্ট বলি।'
2/5প্রাক্তন এইমস প্রধান বলেন, 'আমরা অনেক বছর আগে H1N1 মহামারির সাক্ষী থেকেছিলাম। সেই ভাইরাসের সঞ্চালনকারী স্ট্রেনটি হল এখনকার H3N2। তাই এটি একটি সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জা স্ট্রেন। তবে আমরা দেখছি যে ভাইরাসটি কিছুটা রূপ পরিবর্তন করেছে। এর জেরে ভাইরাসের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা কিছুটা কম হয়ে যায়। এবং সেই কারণেই সহজেই এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে।'
3/5ডঃ গুলেরিয়া বলেন, 'এটি ফোঁটার (হাঁচি বা কাশির) মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। আমি মনে করি উদ্বেগের তেমন একটা কারণ নেই। এই ভাইরাসের সংক্রমণের জেরে হাসপাতালে রোগী ভরতির সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও এই সংক্রমণ খুব একটা বড় আকার ধারণ করেনি।' তবে তিনি সবাইকেই সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। বিশেষ করে বয়স্ক এবং যাদের কোমর্বিডিটি রয়েছে, তাদের ভিড় এড়িয়ে চলতে বলেছেন তিনি।
4/5ডঃ গুলেরিয়া জানান, আমরা যেহেতু আর মাস্ক পরছি না, তাই এই সংক্রমণ এতটা ছড়িয়ে পড়ছে মানুষের মধ্যে। গুলেরিয়া বলেন, 'কোভিড পরবর্তী সময়ে আমরা মাস্ক পরা প্রায় ছেড়ে দিয়েছি। তবে এই ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে ভিড়ে গেলে মাস্ক পরতে হবে। এই ইনফ্লুয়েঞ্জার বিরুদ্ধে প্রতিষেধক টিকাও রয়েছে। যাদের কোমর্বিডিটি রয়েছে এবং বয়স্করা সেই টিকা নিয়ে নিতে পারেন।'
5/5প্রখ্যাত চিকিৎসক বলেন, 'সাধারণ মানুষ নিশ্চয় হোলি উদযাপন করবেন, তবে তাদের সতর্ক হওয়া উচিত। বিশেষ করে যারা বয়স্ক এবং যাদের কোমর্বিডিটি রয়েছে, তাদের সতর্ক থাকতে হবে। যাদের শ্বাসযন্ত্রের রোগ, হার্টের সমস্যা, কিডনি সমস্যা বা ডায়ালাইসিস হচ্ছে, তারা যেন ভিড়ের জায়গায় না যান।'