পুরুলিয়ার অযোধ্যা পহাড়ে বান্দু পাম্প স্টোরেজ প্রকল্পের জন্য দরপত্রের আবেদন গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করল রাজ্য সরকার। আনুমানিক ৪৭০০ কোটি টাকার এই প্রকল্পটি তৈরি হবে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ মডেলে। সরকার আশা করছে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে যাবে।
1/4 জানা গিয়েছে, পুরুলিয়ার বান্দু পাম্প প্রকল্পটি ডিজাইন করা থেকে শুরু করে নির্মাণ এবং পরবর্তীতে তা পরিচালনার জন্য দরপত্রের আবেদন গ্রহণ করছে সরকরা। এই নিয়ে রাজ্যের বিদ্যুৎ দফতরের এক শীর্ষ কর্তা সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছে, দরপত্র গ্রহণের প্রক্রিয়ায় কিছু অযাচিত বিলম্ব ঘটছে। তবে সরকার আশা করছে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই এই প্রকল্পের জন্য সফল আবেদনকারীকে বেছে নেওয়া যাবে এবং প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে যাবে।
2/4 এই বান্দু পাম্প স্টোরেজ প্রকল্পটির 'জীবন' প্রায় ৪০ বছর হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের অংশ হতে দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৮ অগস্ট নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে যে যত বেশি রয়্যালটি দেবে, তার ভিত্তিতেই আবেদনকারীকে প্রকল্পের জন্য বেছে নেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, সজ্জন জিন্দালের জেএসডাব্লু গোষ্ঠী এই প্রকল্পে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
3/4 উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার অধীনে পুরুলিয়াতে ইতিমধ্যেই একটি ৯০০ মেগাওয়াটের জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে। বান্দু স্টোরেজ প্রকল্পটি পুরুলিয়ার দ্বিতীয় এহেন প্রকল্প হতে চলেছে। রাজ্যে স্বচ্ছ জ্বালানির প্রসার ঘটাতেই সরকারের এই উদ্যোগ। এই আবহে পিপিপি মডেলে এই প্রকল্প তৈরি করে রাজ্যে বেসরকারি বিনিয়োগ পেতেও আগ্রহী সরকার।
4/4 এদিকে পাম্প স্টোরেজ প্রকল্প কী হয়? কীভাবে কাজ করে এটি? এই ধরনের প্রকল্পে পাম্প করে জল পাহাড়ের উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে যখন বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ে, তখন সেই জল ছেড়ে তা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে তা সরবরাহ করা হয়। এদিকে এই ধরনের প্রকল্পে বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ তুলনামূলক ভাবে কম হয়ে থাকে।