বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > Pak Forex Reserve: 'ডলার নেই', আর কোনও খাদ্যসামগ্রী আমদানি করবে না পাকিস্তান!
Pak Forex Reserve: 'ডলার নেই', আর কোনও খাদ্যসামগ্রী আমদানি করবে না পাকিস্তান! Updated: 19 Jun 2023, 03:55 PM IST Abhijit Chowdhury পাকিস্তানের অর্থনীতির বেহাল দশার কথা কমবিস্তর সবাই জেনে গিয়েছেন এতদিনে। তবে সম্প্রতি সেদেশের অর্থৈনিতক পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। এই আবহে সেদেশে আর কোনও খাদ্যসামগ্রী আমদানি করা হবে না বলে জানিয়েছেন সেদেশের ব্যবসায়ীরা। 1/6 প্রসঙ্গত, চা সহ বিদেশ থেকে বহু খাদ্যসামগ্রী আমদানি করে থাকে পাকিস্তান। তবে বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে ব্যাঙ্কের থেকে আমদানিকারকরা ডলার কিনতে পারছেন না। এই আবহে করাচির ব্যবসায়িক সমিতি থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ২৫ জুনের পর থেকে করাচি বন্দর থেকে আমদানিকৃত কোনও খাদ্যসামগ্রী তারা আর খদ্দেরদের কাছে পৌঁছে দিতে পারবে না। অর্থাৎ, খাদ্যসামগ্রীর আমদানি কার্যত বন্ধ হয়ে যাবে। 2/6 এর আগে সেদেশের অর্থনৈতিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে অর্থমন্ত্রী ইশাক দার কম কম করে চা খেতে বলেছিলেন পাক নাগরিকদের। কারণ পাকিস্তান চা আমদানি করে। এদিকে আমদানিকৃত সামগ্রী দেশে আনতে গেলে খরচ করতে হয় ডলার। তবে পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রা ভাণ্ডারের করুণ দশা। এই আবহে খাদ্যসামগ্রী আমদানির ওপর প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে। 3/6 সম্প্রতি পাকিস্তানের অর্থনৈতিক হাল হকিকতের রিপোর্ট পেশ করেছিলেন সেদেশের অর্থমন্ত্রী ইশাক দার। তিনি জানান, গত কয়েক মাসে পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রা ভাণ্ডার থেকে ১৭৯ মিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে। এর জেরে সেদেশের বৈদেশিক মুদ্রা ভাণ্ডারে পড়ে রয়েছে মাত্র ৩.৯ বিলিয়ন ডলার। এদিকে ভারতের বৈদেশিক মুদ্রা ভাণ্ডারে রয়েছে ৫২৬.২০১ বিলিয়ন ডলার। 4/6 অন্যদিকে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে পাকিস্তানের জিডিপি বৃদ্ধির হার মাত্র ০.২৯ শতাংশ। বর্তমানে পাকিস্তানের মোট অর্থনীতির মূল্য ভারীয় মুদ্রায় মাত্র ৮৪.৭ লাখ কোটি টাকা। এদিকে ভারতের মোট জিডিপি ২৭২.৪১ লাখ কোটি বা ৩.৩ ট্রিলিয়ন ডলার। পাকিস্তানের অর্থনীতি ভারতের প্রায় তিনগুণ ছোট। 5/6 গত ২০২১-২২ অর্থবর্ষে পাকিস্তানের মাথাপিছু আয় ছিল বছরে ১৬১৩.৮ ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা ১ লাখ ৩৩ হাজার ৭১.৫৩ টাকা। এদিকে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে তা ১১ শতাংশ কমে গিয়েছে। এই আবহে গতবছর পাকিস্তানের মাথাপিছু আয় গিয়ে ঠেকে ১৩৯৯.১ ডলারে। যা ভারতীয় মুদ্রায় ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৪৮.১০ টাকা। এদিকে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ভারতের মাথাপিছু আয় ছিল প্রায় ১ লাখ ৭২ হাজার টাকা। 6/6 একবছর আগের বন্যার ধাক্কা সামলে উঠে গতঅর্থবর্ষে পাকিস্তানের কৃষি খাতে ১.৫৫ শতাংশ বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে। এদিকে পাকিস্তানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানি পণ্য হল তুলো। সেই তুলোর উৎপাদন গত অর্থবর্ষে কমেছে ৪১ শতাংশ। এদিকে ২০২১-২২ অর্থবর্ষের তুলনায় ২০২২-২৩-এ ১০ লাখ টন বেশি গম উৎপাদন হয়েছে পাকিস্তানে। তবে ধান উৎপাদন কমেছে ২০ লাখ টন। এই সবের মাঝেও পাকিস্তানের কর আদায় বেড়েছে ১৬.৫ শতাংশ।