বড় বড় নামকরা কোনও দাকান থেকে জামা-কাপড় কিনছেন, বা কোনও ডিপার্টমেন্টাল স্টোর থেকে নিত্যপ্রজোয়নীয় সামগ্রী কিনছেন? বিলিং করাতে গেলেই কাউন্টারে থাকা ব্যক্তি চেয়ে বসেন আপনার ফোন নম্বর। কিছু না ভেবেই নিজের ফোন নম্বর দিয়েও দেন অনেকেই। এবর এই অভ্যাসের বিষয়ে সতর্ক করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
1/5 কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর সম্প্রতি এক টুইট করে জনসাধারণের উদ্দেশে বলেন, 'যদি স্টোরের তরফে আপনাকে কোনও যুক্তিসঙ্গত কারণ না দেওয়া হয়, তাহলে নিজের ফোন নম্বর তাদের দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।' তিনি আরও বলেছেন, ডিজিটাল ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিল ২০২২ আইনে পরিণত হলে ডিজিটাল ব্যক্তিগত তথ্যের অপব্যবহার বন্ধ হবে।
2/5 উল্লেখ্য, সম্প্রতি মোবাইল নম্বরের অপব্যবহার সংক্রান্ত একটি টুইট ভাইরাল হয়েছিল। ঘটনাটি ঘটেছিল খোদ দিল্লি বিমানবন্দরে। দীনেশ ঠাকুর নামক এক জনস্বাস্থ্যকর্মী দিল্লি বিমানবন্দররে এক দোকান থেকে আঠা কিনেছিলেন। সেই সময় তাঁর থেকে ফোন নম্বর চাওয়া হয়েছিল। ফোন নম্বর চাওয়ার কারণ জানতে চাইলে তাঁকে বলা হয়েছিল, নিরাপত্তাজনিত কারণেই নাকি তা চাওয়া হয়েছে। এই গোটা ঘটনার কথা তিনি টুইট করেছিলেন। এবং তারপরই তা ভাইরাল হয়েছিল। সেই প্রেক্ষিতেই এবার খোদ মন্ত্রী সতর্ক করে দিলেন জনসাধারণকে।
3/5 ভাইরাল হওয়া টুইটে দীনেশের তরফে আরও লেখা হয়, 'আফি ফোন নম্বর চাওয়া নিয়ে প্রশ্ন করলে স্টোর ম্যানেজার আসেন সেখানে। আমি তাঁকে প্রশ্ন করি, যদি আমাকে নিয়ে নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোনও বিষয় উঠে থাকে তাহলে আমি কী করে দুটি সিকিউরিটি চেক-ইন পেরিয়ে এলাম? আমি তারপর আঠা না কিনেই বেরিয়ে আসি।' দীনেশ জানান, তিনি এটা দেখে অবাক হয়েছেন যে তাঁর বহু সহযাত্রী কোনও কিছু না ভেবেই নিজেদের ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে দেন এই ধরনের স্টোরে। তাঁর প্রশ্ন, 'কীভাবে আমরা এত অজ্ঞ এবং উদাসীন হতে পারি?'
4/5 দীনেশ ঠাকুরের এই টুইট রিটুইট করে এই নিয়ে জবাব দেন খোদ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। তিনি লেখেন, 'যদি কোনও খুচরো বিক্রেতা ফোন নন্বর চায়, এবং সে এই বিষয়ে কোনও যুক্তিসঙ্গত কারণ না দেখাতে পারে, তবে আপনার মোবাইল নম্বর স্টোরকে দেবেন না। ডিজিটাল পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন বিল পাশ হওয়ার পর ভারতীয়দের ব্যক্তিগত ডিজিটাল তথ্যের অপব্যবহার বন্ধ হবে।'
5/5 প্রসঙ্গত, কোনও বড় শপিং মলে গিয়ে জামা-কাপড় কিনলে বা কোনও ডিপার্টমেন্টাল স্টোর থেকে নিত্যপ্রজোয়নীয় সামগ্রী কিনতে গেলেই বিলিংয়ের সময় কাউন্টারে থাকা ব্যক্তি চেয়ে বসেন আপনার ফোন নম্বর। কিছু না ভেবেই অনেকেই নিজের ফোন নম্বর দিয়ে দেন। অনেকে আবার ফোন নম্বর চাওয়ার কারণ জানতে চান। অনেক ক্ষেত্রেই অফারের প্রলোভন দেওয়া হয় স্টোরগুলির তরফে। আবার অনেক সময়ই কোনও যুক্তি দিতে পারেন না কাউন্টারে দাঁড়িয়ে থাকা ক্যাশিয়ার। অনেক সময়ই আবার কিছু না ভেবেই নিজের ফোন নম্বর দিয়ে দেন ক্রেতা। এতে করে নিজেরই ক্ষতি করতে পারেন ক্রেতা।