বাংলা নিউজ >
ছবিঘর > NPS Rule Change from 1st February: আজ থেকে বদল এনপিএস-এ টাকা তোলার নিয়মে, আম জনতার কী সুবিধা হবে এতে?
NPS Rule Change from 1st February: আজ থেকে বদল এনপিএস-এ টাকা তোলার নিয়মে, আম জনতার কী সুবিধা হবে এতে? Updated: 01 Feb 2024, 07:57 AM IST Abhijit Chowdhury আজ থেকে বদলে যাচ্ছে এনপিএস-এর নিয়ম। জাতীয় পেশন নীতিতে টাকা তোলার এই নয়া নিয়ম কার্যকর হল আজ। পেনশন ফান্ড রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি জানিয়েছে, এনপিএসের নতুন নিয়ম অনুযায়ী এখন কেউ এনপিএস অ্যাকাউন্ট জরুরি ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ বেশি টাকা তুলতে পারবেন। 1/7 নয়া নিয়মে সন্তানদের শিক্ষার খরচ, বিয়ে, বাড়ি তৈরি কিংবা চিকিৎসার মতো জরুরি প্রয়োজনে এনপিএস-এর গ্রাহকরা তিনবার আংশিক টাকা তুলতে পারবেন এবার থেকে। আংশিক টাকা তুলতে গেলে গ্রাহকদের কমপক্ষে তিন বছরের জন্য সেখানে বিনিয়োগ থাকতে হবে। তবে যে কোনও জরুরি পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত টাকা তোলা যাবে। তবে নিয়োগকর্তার অবদানের থেকে কোনও টাকা তোলা যাবে না। এছাড়া যে কোনও ধরনের ব্যবসা বা স্টার্টআপ শুরু করতেও অর্থ তোলা যাবে। 2/7 এদিকে গ্রাহক অসুস্থ হলে, তাঁর জায়গায় পরিবারের কোনও সদস্য বা মনোনীত ব্যক্তি এই অনুরোধ করতে পারবেন। উল্লেখ্য, এনপিএস-এ গ্রাহকের ৬০ বছর বয়স হলে এনপিএস থেকে মোট ম্যাচিওরিটির ৬০ শতাংশ টাকা তোলার অনুমতি দিয়ে থাকে, যা কর মুক্ত। বাকি ৪০ শতাংশ মেয়াদপূর্তিতে একটি বার্ষিক পরিকল্পনায় বিনিয়োগ করতে হয়, যেখান থেকে পেনশন পাওয়া যায়। অ্যানুয়িটিতে বিনিয়োগ করা টাকার পরিমাণ করমুক্ত হয়ে থাকে। 3/7 এরই মধ্যে বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে জাতীয় পেনশন স্কিম এবং পুরোনো পেনশন ব্যবস্থা নিয়ে রাজনীতি চলছে দেশে। বহু ক্ষেত্রেই সরকারি কর্মীরা পুরনো ব্যবস্থা চালু করার দাবি করেছে। কিন্তু নতুন পেনশন স্কিম নিয়ে কেন আপত্তি সরকারি কর্মীদের? কেন এত আন্দোলন, বিক্ষোভ, প্রতিবাদ? পুরনো আর নতুন পেনশন স্কিমের পার্থক্য কোথায়? সরকারি কর্মীদের বক্তব্য, এনপিএস-এর অধীনে অবসর গ্রহণের পরে তাদের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত তারা। 4/7 এনপিএস বনাম ওপিএস: দুই পেনশন নীতির ফারাক কোথায়? কত টাকা জমানো হয়েছে, কত বছরে চাকরিতে যোগ দিয়েছেন, কী ধরনের বিনিয়োগ করা হয়েছে, বিনিয়োগ থেকে কত আয় হয়েছে - এই সমস্ত বিষয়গুলির উপর নয়া পেনশন প্রকল্প নির্ভর করে। সেখানে পুরনো ব্যবস্থায় শেষ পাওয়া বেতনের ৫০ শতাংশ পেনশন পাওয়া যায়। যা নির্ধারিত ছিল। সেইসঙ্গে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও মিলত এতে। 5/7 এদিকে নয়া পেনশন প্রকল্পের আওতায় নিজের কর্মজীবনে যে পরিমাণ অর্থ সঞ্চয় করেন কর্মচারীরা, অবসরের সময় সেটার ৬০ শতাংশ টাকা তোলা যায়। যে টাকা তুললে কর দিতে হয় না। বাকি ৪০ শতাংশ অ্যানুইটিতে বিনিয়োগ করা হয়। প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, শেষ যে বেতন তুলেছিলেন সরকারি কর্মচারী, সেটার ৩৫ শতাংশের মতো পেনশন বাবদ পাওয়া যায়। তবে সেটা যে মিলবে, এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই। কারণ পুরোটাই বাজারের উপর নির্ভর করে। 6/7 সরকারি কর্মীদের একাংশের বক্তব্য, পুরনো পেনশন প্রকল্পে কোনও ঝুঁকি নেই। নয়া পেনশন প্রকল্পে ঝুঁকি আছে। যদিও অপর অংশের বক্তব্য, ন্যাশনাল পেনশন স্কিম যে বাজার-নির্ভর, তা ঠিক। কিন্তু দীর্ঘকালীন ক্ষেত্রে তাতে বেশি লাভবান হবেন কর্মীরা। তবে ঝুঁকি নিতে নারাজ অধিকাংশ সরকারি কর্মী। এই আবহে একাধিক রাজ্যে পুরনো পেনশন প্রকল্প ফিরিয়ে আনার পক্ষে দাবি ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। 7/7 এর আগে ২০০৩ পর্যন্ত বাজেট বরাদ্দ থেকে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পেনশন দিল সরকার। তবে বাজপেয়ী জমানায় চালু হয় ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম। ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল থেকে চালু হয় এনপিএস। এই নয়া ব্যবস্থায় সরকারের আর্থিক বোঝা হালকা হয়। প্রাথমিক ভাবে শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য ছিল। পরবর্তীতে সব রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য তা প্রযোজ্য হয়। তবে বিগত কয়েক বছরে কিছু রাজ্যে নতুন করে চালু হয় ওপিএস।